বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোন ম্যাচ কবে কোথায়

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে এ নিয়ে। প্রথমে আয়োজক বদলানোর সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু ভারত নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বলে ২০২০ বিশ্বকাপ ২০২২ সালে চলে গেছে। ২০২১ বিশ্বকাপ যথাসময়েই হচ্ছে। কিন্তু ভারতের অন্য ইচ্ছাপূরণ হয়নি। নিজেদের মাঠে নয়, করোনার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে আয়োজন করতে হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

ভেন্যু যাই হোক, মূল সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পেরেই খুশি সবাই। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

শীর্ষ আট দলে থাকতে না পেরে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে। শুরুর দিনই বাংলাদেশের খেলা। গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ১৯ অক্টোবর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ওমানের বিপক্ষে। প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচ ২১ অক্টোবর, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।

ওমানে হওয়া এ ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ পরিষ্কার ফেবারিট। শ্রীলঙ্কার গ্রুপে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের মতো পরিচিত মুখ আছে, আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার স্বাদ পাওয়া নামিবিয়াও।

সে তুলনায় বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ বেশ দুর্বল। পাপুয়া নিউগিনি এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে। ওমানের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। এই সংস্করণে একমাত্র সেঞ্চুরির দেখা সে ম্যাচে পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে স্কটল্যান্ড নামটা বাংলাদেশের জন্য এক অতৃপ্তির নাম। টি-টোয়েন্টি একবারই দেখা হয়েছে দুই দলের। হেগের সে ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হলে
২৫ অক্টোবর আফগানিস্তান-বাংলাদেশ
রাত ৮টা শারজা
২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ-এ ২
রাত ৮টা আবুধাবি
০৩ নভেম্বর নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
বিকেল ৪টা দুবাই
০৫ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ
রাত ৮টা দুবাই
০৭ নভেম্বর পাকিস্তান-বাংলাদেশ
রাত ৮টা শারজা
তবু এই গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সেরা হয়েই সুপার টুয়েলভে যাওয়ার কথা। আর সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাবে গ্রুপ ‘টু’তে। আর সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গ্রুপ–সঙ্গী হিসেবে পাবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দলকে।
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু হবে ২৫ অক্টোবর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে শেষ হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে, ৭ নভেম্বর। শারজায় শুরু হয়ে শেষ হবে শারজাতেই।

কিন্তু কোনো কারণে, বাংলাদেশ যদি প্রথম রাউন্ডে দ্বিতীয় হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের ঠাঁই হবে গ্রুপ ‘ওয়ান’-এ। তখন বাংলাদেশের গ্রুপ–সঙ্গী হবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ‘এ’ গ্রুপের সেরা দলের (শ্রীলঙ্কা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি)। সুপার টুয়েলভ শুরু হবে এক দিন আগে, ২৪ অক্টোবর। সেদিন ‘এ’ গ্রুপের সেরা দলের সঙ্গে খেলা হবে শারজাতে। আর সেমিফাইনালে উঠতে না পারলে বিশ্বকাপ আগেভাগেই শেষ হয়ে যাবে। কারণ, তখন বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ হবে ৪ নভেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুবাইয়ে হবে সে ম্যাচ।

বাংলাদেশ গ্রুপে দ্বিতীয় হলে
২৪ অক্টোবর এ ১-বাংলাদেশ
বিকেল ৪ টা শারজা
২৭ অক্টোবর ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ
বিকেল ৪ টা আবুধাবি
২৯ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ
বিকেল ৪টা শারজা
০২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ
বিকেল ৪টা আবুধাবি
০৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ
বিকেল ৪টা দুবাই
দুই গ্রুপে পড়ার আরও একটি পার্থক্য তখন টের পাওয়া যাবে। যদি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপ ‘ওয়ান’-এ পড়ে তখন সুপার টুয়েলভের সব ম্যাচ হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়। আর যদি প্রথম রাউন্ডে সেরা হয়ে গ্রুপ ‘টু’তে যায় বাংলাদেশ, তখন শুধু নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৩ নভেম্বরের ম্যাচটিই খেলতে হবে বিকেলে। বাদবাকি ৪টি ম্যাচ হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

Share