নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩ লাখ।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৩ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ লাখ ২ হাজার ৮ জনের। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৩ কোটি ৪৪ লাখ ২ হাজার ৩৪০ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮২ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩০৪ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ লাখ ১০ হাজার ৬৫২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৭ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৮ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে থাকলেও আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১১ নম্বরে। মেক্সিকোতে শনিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৪ জনের।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য মৃত্যু বিবেচনায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান সপ্তম। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ২১ হাজার ৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ হাজার ৩৯৬ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯১টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৬৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯ জনের। সবমিলিয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৫৯ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৭ জন।