সীমান্তে গোলাগুলি: ভারতের ১১ ও পাকিস্তানের ৬ জন নিহত

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের একাধিক স্থানে গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ দু’পক্ষের অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ভারতের দাবি, তাদের পাঁচজন সৈন্যসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের দাবি, তাদের পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক ও একজন সৈন্য নিহত হয়েছেন।

ভারতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, গোলাবর্ষণের ফলে দেশটির সেনাবাহিনীর অন্তত চার সদস্য এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একজন সাব-ইন্সপেক্টর নিহত হয়েছেন। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে এই হামলায়। দেশটি এ নিয়েও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

এ ঘটনায় পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) দুই কমান্ডোসহ ছয়-সাত জন সেনা সদস্য নিহত এবং ১০-১২ জনের মতো আহত হয়েছে বলেও দাবি করছে ভারতীয় পক্ষ।

তবে পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, শুক্রবার আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলিতে এক শিশুসহ দেশটির পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় সেনারা নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে গিয়ে গোলাবর্ষণ করেছে, যা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় পাকিস্তানের অন্তত ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচজন সামরিক সদস্য আহত হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হামলার দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই পোস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘বিনা প্ররোচনায় হামলা’ করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‘পাকিস্তানের হামলার’ জবাবে ভারতের সেনাদের ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ ভিডিও দেওয়া হয় ওই পোস্টের সঙ্গে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তরের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা পোস্টে ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লাইন অব কন্ট্রোলের রাখচিকরি ও খঞ্জর অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রকেট ও মর্টার হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সীমান্তে ভারতের সেনাঘাঁটিতে হামলা করেছে বলে দাবি করা হয় ওই পোস্টে।

Share