বিয়ের জন্য ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ৫ বছর অপেক্ষা করে বাংলাদেশে আসছেন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : প্রেমের টানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পটুয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের কাছে এসেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া। তখন ইমরানের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাঁকে ফিরে যেতে হয়। পাঁচ বছর পর বিয়ের জন্য আজ সোমবার বাংলাদেশে আসছেন তিনি।

এ উপলক্ষে বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামে ইমরানের বাড়িতে এখন বিয়ের উৎসব। ইতিমধ্যে বিয়ের দাওয়াতপত্র বিতরণ করা হয়েছে। দাওয়াতপত্র অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে। ইমরানের বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন। ইমরান উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মুঠোফোনে ইমরান বলেন, ২০১৬ সালে ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন নিকি উল ফিয়া। সেখান থেকে ইমরান নিকিকে তাঁর বাউফলের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন তাঁর ২১ বছর না হওয়ায় বিয়ে করতে পারেননি। তখন ফিরে যান নিকি।

বর্তমানে ইমরানের বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তাঁর মায়ের নাম শ্রীআনি।

ইমরান বলেন, ‘নিকি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আজ রাত ১২টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে নিকি। তাকে নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বাউফল যাব।’

ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিকি চলে যাওয়ার পর আমার ছেলে ও আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। আমাদের সঙ্গে ওর বাবা-মায়েরও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে নিয়মিত কথা হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই বিয়ের দিন ঠিক করে আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াত দিয়েছি।’

Share