নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : আর বাবার শাসনে থাকতে চান না যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। তার ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থসম্পত্তিতে বাবা জেমি স্পিয়ার্সের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৩৮ বছরের এই হলিউড অভিনেত্রী।
ব্রিটনির মানসিক অসুস্থতার কথা বলে গত ১২ বছর ধরে তাকে দেখভালের নামে আইনী তত্বাবধায়ক (কনজারভেটর) নিযুক্ত হয়েছিলেন বাবা জেমি। বাবার বিরুদ্ধে তাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে তার অর্থসম্পদ হস্তগত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে ব্রিটনির। ইতিমধ্যে ব্রিটনির ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থসম্পদে তার নিজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ’হ্যাশট্যাগ ফ্রি ব্রিটনি’ আন্দোলন শুরু করেছেন তার ভক্তরাও।
যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে করা আপিলের নথি অনুসারে, ব্রিটনি তার ব্যক্তিগত জীবনের তত্বাবধায়ক হিসেবে বাবা জেমির ফিরে আসার ঘোরতর বিরোধী।
২০০৮ সালে জেমি কন্যা ব্রিটনির তত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলেও গত বছর নিজের শারিরীক অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তখন ব্রিটনির সবকিছু দেখভালে ম্যানেজার নিযুক্ত হয়েছিলেন জোডি মন্টেগোমারি। এখন কিছুদিন ধরে আবার তার বাবা খবরদারি শুরু করেছেন। এরইমধ্যে ব্রিটনির ব্যক্তিগত অর্থসম্পদ নিজের মতো দেখভাল করছেন তিনি। আগামী ২২ আগস্ট জেমির দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর আর তা বাড়তে দিতে চান না ব্রিটনি।
ব্রিটনি আদালতে আবেদনে বলেছেন, নিজের জীবন নিজেই চালাতে চান। সংগীত-বিনোদনের জগতে নিজের অবস্থান ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। এজন্যই কারো অধীনে যেতে চান না। আদালত যেন তাকে উদ্ধার করে। আর বর্তমান ম্যানেজার জোডি মন্টেগোমারি দায়িত্বে থাকলে তার কোনো অসুবিধা নেই।
২০০৭ সালে স্বামী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ব্রিটনি। তখন তার দুই সন্তানকেও তার থেকে কেড়ে নেওয়ায় একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে যান তিনি। সে সময় নিজের মাথা মুড়িয়ে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার পর খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টরের’ বিচারক ব্রিটনি। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।