‘মসজিদ রয়েছে জানলে কখনই নাচতাম না, আমি ক্ষমাপ্রার্থী’

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সম্প্রতি মসজিদের সামনে চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় আল্লাহ ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় মুনমুন বলেন, ‘আমি আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আর আপনাদের অনুভূতিতে যদি আঘাত হেনে থাকি, তাহলে আপনাদের বোন হিসেবে, প্রিয় নায়িকা হিসেবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

তিনি জানান, সবসময় খুব সচেতনভাবে চলেন। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকায় পিকনিকে যাওয়ার আগ্রহটা দেখান। তিনি অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে নেচেছেন, সেখানে মসজিদ যে রয়েছে তা তিনি জানতেন না। মসজিদ রয়েছে জানলে কখনই নাচতেন না বলে জানান মুনমুন।

এই নায়িকা বলেন, ‘আমি একজন সচেতন নাগরিক। জানলে এই কাজ কখনই করতাম না। আমার ক্যারিয়ারে, আমার ফিল্ম ইন্ড্রাস্টিতে প্রশংসাই বেশি আছে, বদনাম কম আছে। আমাকে নিয়ে যারা ট্রল করছেন তাদের অনুরোধ করবো ব্যাপারটা ভেবে তারপর ট্রল করুন।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে যদি মসজিদ থাকতো, একটা ইমাম যদি থাকতেন। মসজিদের কর্মচারীরা থাকতেন তারা কি কখনো সেখানে নাচ-গান করতে দেবেন? যেহেতু এখানে কেউ বাধা দেয়নি, নিশ্চয় ঘটনার পেছনে অন্য কিছু রয়েছে।’

মুনমুন বলেন, ‘আছরের কিছুক্ষণ পর আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছি। আমি কোনো মুসুল্লিকে দেখিনি যে ওখানে বসে নামাজ পড়ছেন, বা ওখানে কোনো মুসুল্লি নামাজের টুপি পরে গিয়েছেন।’

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে মুনমুন দাবি করেন, একটা মসজিদ নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। সেই মসজিদের সাইনবোর্ড এনে রাখা হয়েছে সেখানে।

তবে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন এই নায়িকা। বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে। আমি যথেষ্ট সচেতন ছিলাম না।’

মুনমুনের নাচের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেটা টাঙ্গাইলের সখীপুরের ঘটনা। শনিবার বিকালে মাইক্রোবাস মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে গঠিত আল মদিনা সমবায় সমিতির নেতৃত্বে নৌকা ভ্রমণ শেষে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের পলাশতলী বাজারে এই নাচ হয়।

Share