নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জে ইতোমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও মানুষজনকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না।এ বিষয়ে গত শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেন, কারফিউ দিয়েও লাভ হবে না। লাঠি না নিয়ে নামলে মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। যতকিছুই দেওয়া হোক লাভ হবে না। কারণ কারফিউ দিলে তো সেনাবাহিনীই নামবে। সেনাবাহিনী তো মাঠে আছেই, র্যাব-পুলিশ-বিজিবিও মাঠে। তারা একদিক দিয়ে টহল দিয়ে যাচ্ছে আরেকদিক দিয়ে মানুষ বের হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এখন কি করা?
তিনি আরো বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজকে অনুরোধ করে বলছি, আমি কিন্তু লোক নামিয়েছিলাম। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটা এলাকায় লাঠি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছে তারা। কিন্তু দুই একটা মিডিয়া লিখে দিলো, লাঠি হাতে যুবকরা নারীদের বাড়ির সামনে হৈ চৈ করছে। তাহলে কি দাঁড়ালো কাজ করতে গেলেও সমস্যা, না করলেও সমস্যা। তাহলে কি সে মেয়েদের উত্যক্তকারী?
শামীম ওসমান বলেন, এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, পঞ্চায়েতকে নিয়ে এলাকায় এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা ৫-৮-১০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে টিম করে মাঠে নামাবো। কমিটিতে যারা থাকবেন তাদের একটা আইডি কার্ড প্রশাসনের কাছে থাকবে। যাতে এই সুযোগে অন্য কেউ বদমাশি করতে না পারে। তাদের কাজ শুধু পাড়া মহল্লায় মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা। বের হলে যে কোন উপায়ে তাকে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, কমিটিগুলোতে স্ব স্ব এলাকায় সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে পারে। তাই আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত যদি আমাকে জানান তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের ঘরে থাকতে বাধ্য করতে স্বেচ্ছাসেবী নামাবো। এছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কোনভাবেই সম্ভব না।
এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, সরকারি সাহায্য আসছে সেটা সরকারি লোকজন বিতরণ করছে। আমি আমারটা করছি। কারণ সরকারি সাহায্যের বাইরেও আমার সাহায্য দেওয়ার ক্ষমতা আছে। আমি করছি। কারণ এখনই পরীক্ষা দেওয়ার সময়। বিপদে পড়লে মানুষ যদি আমাকে কাছে না পায় তাহলে কিসের জন্য কার জন্য রাজনীতি করি।
খাবার নিয়ে মানুষকে চিন্তা না করার অনুরোধ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, এখন এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে যা করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে খুশি করার জন্য করছি। আমরা দুই ভাই (শামীম ওসমান-সেলিম ওসমান) যদি মানুষের কাছে হাত পাতি। নিজেরা তো দিবোই, আরো ৫-১০ কোটি টাকা মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়া কোন ব্যাপারই না। এই টাকা দিয়ে আমরা মানুষকে খাওয়াইয়া রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।