নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবকিছু করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের জোটভূক্ত কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে সেন্ট মার্টিন চায়।
মার্কিন ভিসা নীতিকে রেজিম চেঞ্জ অর্থাৎ ক্ষমতা বদলের কৌশল বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রেখে রাশেদ খান মেনন বলেন, বাইডেন সাহেব, ট্রাম্পকে সামলান। আমাদের ঘর আমরা সামলাব। নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে রেখেই হবে।
বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মহাজোটের এই নেতা। বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে রাশেদ খান মেনন বলেন, বেশ কিছু সময় আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার বাগে রাখতে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে। এখন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা কেবল দুরভিসন্ধিমূলকই নয়, তাদের ‘রেজিম চেঞ্জে’র কৌশল।
বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত উল্লেখ্য করে রাশেদ খান মেনন বলেন, তারেক রহমান নির্বাচন না করে ২০২৯-এর জন্য অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তার সেই স্বপ্নও পূরণ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তীব্র খাদ্যসংকটের সময় বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করতে মধ্যসমুদ্র থেকে গমের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে তাদের কালো হাত ছিল। এখন আবার বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সবকিছু করছে।
এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলেরও দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ডিজিটাল আইন নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বিদেশিরাও এ নিয়ে কথা বলেন। আইনমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, এই আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। বিদেশিদের কথায় নয়, নিজ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার প্রশ্নে এই আইন হয় পরিপূর্ণ বাতিল বা নির্দিষ্ট গণবিরোধী ধারাগুলো সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।