নতুন নিয়ম ‘না জেনে আনা’ সোনার বারগুলো ফেরত পাওয়ার সুযোগ

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ব্যাগেজ বিধিমালায় হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে বিদেশ থেকে ফেরার সময় যাদের সোনার বার জব্দ করা হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জুন মাসের প্রথম চার দিনে বিমানযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০৫টি (তিন হাজার ভরি) সোনার বার জব্দ করেছিল কাস্টমস। ২৯৩ জন যাত্রীর কাছ থেকে এই সোনার বার গুলো জব্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী কয়েকজন প্রবাসী তখন বলেছিলেন, ব্যাগেজ বিধিমালায় পরিবর্তন হয়েছে, এটা না জানায় তারা দুটি করে সোনার বার এনেছিলেন। কিন্তু শুল্ক কর্মকর্তারা একটি করে বার জব্দ করে নেয়।

আগের ব্যাগেজ বিধিমালায়, একজন যাত্রী ১০ তোলা ওজনের দুটি সোনার বার শুল্ক দিয়ে নিতে পারতেন। গত ১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বলেন, যাত্রীরা কেবল ১০ তোলা সোনা শুল্ক দিয়ে নিতে পারবেন। আর শুল্কের অঙ্কও প্রতি তোলার জন্য দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা করা হয়।

সেদিনই এই বিধিমালা কার্যকর হলে তা না জেনেই বিমানে চেপে বসা যাত্রীরা ঢাকায় নেমে বিপাকে পড়েন। দুটি সোনার বারের শুল্ক দিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, তারা কেবল একটি নিতে পারবেন। অন্যটি জব্দ করা হয়। নতুন ব্যাগেজ বিধিমালার ফাঁদে ৩২০ প্রবাসীর সোনার বার

ঢাকা কাস্টমস হাউজের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম চার দিনে ২৯৩ জন যাত্রীর কাছ থেকে ৩০৫টি সোনার বার জব্দ করা হয়।

জব্দ করার সেই সোনার বার ফেরতের আশায় গত ক’দিন ধরেই ঢাকা কাস্টমস হাউজে দেন-দরবার করছিলেন সেগুলো নিয়ে আসা ব্যক্তিরা। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুযোগ দেওয়া হল।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া সাপেক্ষে পৃথকভাবে প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ নিষ্পত্তি করা হবে।

“নতুন আইনটি ১ জুন থেকে চালু হয়। কেন তারা আইন প্রণীত হওয়া সত্ত্বেও দুটো করে বার আনলেন, এ বিষয়ে তাদের কাছে আমরা জানতে চাইব। তারা যদি গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে পারেন, তখন কাস্টমস অ্যাক্টের বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী তাদের জন্য কী ধরনের রেমেডি দেওয়া যায়, যেখানে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটা বিবেচনায় আনা হবে। ”

এই ৩ শতাধিক সোনার বার জব্দের প্রতিটি আলাদা আলাদা বিবেচনা করে প্রতিটির জন্য আলাদা আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কমিশনার বলেন, “প্রথম দিন ১৪০ জন যাত্রী অতিরিক্ত স্বর্ণ এনেছিলেন। এই প্রবণতা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আমরা আশা করছি, যাত্রীরা সচেতন হবেন।”

Share