মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি

কক্সবাজার প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং পাহাড়ে শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের তুমব্রু বাজার থেকে ওপারের মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দুই শেষের মধ্যবর্তী শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।

রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং পাহাড়ে মাসখানেক ধরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। এত দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চললেও আজ বেলা সাড়ে তিনটা থেকে পাহাড়ে গোলাগুলি শুরু হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি (বুলেট) তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া এসে পড়ার খবর স্থানীয় লোকজন অবহিত করে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তে তাদের ওপারে গোলাগুলি শব্দ হচ্ছে। মাঝখানে মাত্র দুইদিন তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তারপর থেকে সেখানে গোলাগুলি চলছে। আমরা সীমান্তের খোঁজ-খবর রাখছি।’

তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা মো. কামাল জানান, ‘বিকেল থেকে ফের গোলাগুলি চলছে সীমান্তে। এখনও মাঝে মাঝে গুলির শব্দ আসছে। রাত হওয়ায় মানুষজন ভয়ের মধ্যে আছে। শুনেছি, আজকেও মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গোলা এসে পড়েছে। আকাশে হেলিকপ্টারও দেখা গেছে।’

এর আগে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টার শেল ও গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এমন দুটি ঘটনা ঘটল। উভয় ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো‘কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে আমার সীমান্তজুড়ে গোলাগুলির খেলা চলছে। এখনো বন্ধ হয়নি।

Share