রেস্তোরাঁয় ভাত খেয়ে ভ্যাটের লটারিতে ৫০ হাজার টাকা

পল্টন এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবালকে প্রায়ই দুপুরে বাইরে খেতে হয়। গত ২৯ মে পল্টনের হোটেল কস্তুরীতে দুপুরের খাবার খান তিনি। খাবার তালিকায় ছিল সাদা ভাত, মুরগি, করলা ভাজি ও ডাল। খাওয়া শেষে ৪৩০ টাকা বিল দেন। সঙ্গে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দেন। এ জন্য কস্তুরী রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইকবালকে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিনের একটি রসিদও দেন।

মোহাম্মদ ইকবাল রসিদটি রেখে দেন। জুন মাসে অনুষ্ঠিত ভ্যাটের লটারিতে দ্বিতীয় বিজয়ী হন তিনি। পুরস্কার হিসেবে মেলে ৫০ হাজার টাকা। গত রোববার ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হ‌ুমায়ূন কবির তাঁর কার্যালয়ে বিজয়ী মোহাম্মদ ইকবালের হাতে ওই টাকার চেক তুলে দেন।

প্রতি মাসে ইএফডি মেশিনের রসিদ দিয়ে ভ্যাট লটারি হয়। প্রতি মাসেই ১০১ জন ভ্যাটদাতা বিজয়ী হন। প্রথম বিজয়ী পান ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় ৫ বিজয়ী পান ২৫ হাজার টাকা করে। বাকি ৯৪ জনের পুরস্কারের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা। ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে কেনাবেচা উৎসাহিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ লটারির আয়োজন করেছে।

ইএফডি বা ভ্যাটের মেশিন আছে, এমন দোকান থেকে পণ্য বা সেবা কিনলেই শুধু লটারির জন্য ক্রেতা বিবেচিত হবেন। আবার তা পাকা রসিদ হতে হবে, কাঁচা বা দুই নম্বরি রসিদ হলে হবে না। ভ্যাট মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে রসিদ দেবে, সেই রসিদের নম্বর ধরেই লটারি হয়। প্রতি মাসে প্রথম থেকে শেষ দিবস পর্যন্ত বেচাকেনার রসিদ নিয়ে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

এখন বিজয়ীদের চলতি মাসের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর কুপন নম্বর মিলিয়ে দেখাসহ যাবতীয় যাচাই–বাছাই করা হবে। আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম, স্বাক্ষর, ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), চালান নম্বর, ইস্যুর তারিখ থাকতে হবে। পুরস্কারের অর্থ চেকের মাধ্যমে পাবেন বিজয়ীরা।

Share