নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শিপ্রা রানী দেবনাথের কক্ষ থেকে জব্দ করা সরঞ্জামের তালিকায় গরমিল থাকায় আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ।
বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যার পর শিপ্রাকে আটক করে রামু থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মালামাল নিয়ে দুটি জব্দ তালিকা করেন রামু থানার ওসি আবুল খায়ের। কেন দু’টি জব্দ তালিকা করা হয়েছে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই মেজর (অব.) সিনহা গুলিতে নিহত হওয়ার পর হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালায় পুলিশ। রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় স্টামফোর্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শিপ্রাকে। রামু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার জব্দ তালিকায় দেখানো হয় বিদেশি মদের ৪টি বোতল, ২ পোটলা গাঁজা ও কিছু মাদক দ্রব্য। এই সময়ে শিপ্রার কক্ষ থেকে উদ্ধার ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, মোবাইলসহ ২৯ রকমের সরঞ্জাম তালিকায় আনা হয়নি। পরে আরেকটি জব্দ তালিকা তৈরি করে পুলিশ।
মামলার শুনানিকালে আদালত দু’টি জব্দ তালিকা করার কারণ জানতে চান। এই বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলেন রামু থানার ওসিকে। পরে আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত সকল সরঞ্জাম র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।