নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫ জন আলেম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয়। তবে মুসল্লিদের সংখ্যা নির্ধারণের কারণে বিভিন্ন স্থানে মসজিদে তালা লাগানো, ইমাম-মুয়াজ্জিন, প্রবীণ ও নিয়মিত মুসল্লিদের হয়রানি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
ওলামায়ে কেরাম বলেন, কাঁচা বাজারগুলোতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জনসমাগমের বৈধতা থাকলেও আল্লাহর ফরজ বিধান জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য অজু ও পবিত্রতার সাথে স্বল্প সময়ে সাধারণ মুসল্লিদের মসজিদে উপস্থিতির ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ ও সংখ্যা নির্ধারণ যুক্তিসংগত নয়।
ওলামায়ে কেরাম আরো বলেন, আল্লাহর বিশেষ রহমত অর্জন এবং আল্লাহর গজব করোনা মহামারি থেকে মুক্তি লাভের জন্য সংখ্যার শর্ত তুলে দিয়ে সীমিত সময়ে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের নিকট সবিনয় দাবি জানাচ্ছি। এ মহৎ উদ্যোগ আল্লাহর রহমতকে তরান্বিত করবে এবং দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি সচেতনতার সহিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মহামারির সময় হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউনসহ এধরনের সতর্কতা অবলম্বনের কথা দেড় হাজার বছর আগে মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ সা. বলে গেছেন।
বিবৃতিদাতাগণ হলেন, দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর প্রধান মুফতি আল্লামা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী চট্রগ্রাম, বারিধারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মুফতি মো. ওয়াক্কাস, চট্রগ্রাম বাবুনগর মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জামিয়া ইউনুসিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ, মারকাজুল উলুম খুলনার প্রিন্সিপাল মুফতি গোলাম রহমান, শায়খুল হাদিস আল্লামা সোলায়মান নোমানী, শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল বরিশালী, শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ আজীমুদ্দীন, জামিয়া নুরিয়ার প্রধান মুফতি আল্লামা মুজিবুর রহমান, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, শায়খুল হাদিস শাইখ নাসিরুদ্দিন সিলেট ও মুফতি ওমর ফারুক বিন মুফতি নুরুল্লাহ বরিশাল।