নয়াবার্তা প্রতিবেদক : সংঘবদ্ধ চক্র শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে স্বর্ণসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আনছে। তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চোখ এড়িয়ে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে কৌশলে পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট (১৩) এপিবিএন উত্তরার গোয়েন্দা টিম বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার সন্দেহভাজন প্রায় ১৬ যাত্রীকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে তাদের মালামাল তল্লাশিকালে অবৈধভাবে আনা যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন, কসমেটিক্স, সিগারেট, বিউটি ক্রিম, ল্যাপটপ, স্বর্ণলংকারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উদ্ধার করছে। যার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। আটককৃত যাত্রীদের সঙ্গে আনা মালামালসমূহ বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এয়ারপোর্ট (১৩) এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তোফায়েল আহাম্মদ জানান, ঈদকে সামনে রেখে কিছু চক্র বিমানবন্দরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার কারণে আর্মড পুলিশ বিশেষ অভিযান জোরদার করেছে। আর্মড পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, সব প্রকার যাত্রী হয়রানি ঠেকানো, মালামাল চুরি, বিমানবন্দর এলাকা হকার, ভিক্ষুকমুক্ত করা, ট্রাফিক, ব্যবস্থাপনা সমুন্নত রাখাসহ বিমানবন্দরকেন্দ্রিক মাদকদ্রব্যসহ সকল প্রকার অপরাধ দমন, স্বর্ণ, ইয়াবা, মোবাইল, কসমেটিক্সসহ অন্যান্য চোরাচালান প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে এপিবিএন (১৩) একাধিক অভিযান চালিয়েছে অনেককে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। এছাড়া কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক আনা অনেককেই আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে আর্মড পুলিশের কাছে অনেক যাত্রী অভিযোগ করলেও সেসব অভিযোগ অনুুসন্ধান করে ক্লু উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। বিমানবন্দরে হারানো মালামাল উদ্ধারসহ যাত্রীদের নানা অভিযোগ আর্মড পুলিশ নিষ্পত্তি করেছে।
এপিবিএন-১৩ অফিসে গত মাসে ২৫৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরে সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৬২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে। অবশিষ্ট ৯৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান আছে বলে এপিবিএন অফিস থেকে বলা হয়েছে। এরপরও দুর্নীতিবাজরা বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে নানা অনিয়ম করার চেষ্টা করেন। আবার অনেকেই মানব পাচার ও মাদক পাচার করার চেষ্টা করে ধরা পড়েছে।