নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ওপর পুলিশ পৈশাচিক ও বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছে। সংবাদের কারণে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছেন। তাঁকে ধরে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে যেভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছে তা অবর্ণনীয়। শুধু তাই নয় নির্যাতনের পর বিদেশি মদ, ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে মামলা করে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে যিনি কলম যুদ্ধ করেছেন, তাঁকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সাংবাদিক ফরদিুল মোস্তফা খান দীর্ঘদিন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। দৈনিক কক্সবাজার বাণীর সাবেক সম্পাদক ও প্রকাশকও তিনি। সর্বশেষ দৈনিক জনতার বাণী নামে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে অনলাইন সংস্করণ চালাচ্ছিলেন।
মতাদর্শগত ভিন্নতার কারণে কক্সবাজারের কোন কোনো সাংবাদিক নিপীড়ক ওসির পক্ষ নিয়েছেন। বাকিরা ওসির হুমকির মুখে নির্যাতনের সংবাদটিও পাঠানোর সাহস পাচ্ছেন না।
দুয়েকজন সাংবাদিক এর প্রতিবাদে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে তাদেরও নাকি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক আহমদ গিয়াস প্রতিবাদ করায় তাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে নেতা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে অবিলম্বে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার মুক্তি দাবি করে গ্রেফতার ও নির্যাতনের বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবি করেছেন। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, দ্রুত উন্নত চিকিৎসা না পেলে ফরিদুল মোস্তফার জীবন বিপন্ন হতে পারে।