নয়াবার্তা প্রতিবেদক : নারী বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় আছে বাংলাদেশ দল। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য লতা মণ্ডল। এই অলরাউন্ডারকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় দলের এক সময়ের সতীর্থ সোহেলী আক্তার। প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন লতা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী জানান ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন লতা। বিসিবির এ পরিচালক বলেছেন, ‘সকালে যখন প্রস্তাবটা যায়, এরপরই সে (লতা) আমাদের ওখানকার কোচ এবং ম্যানেজারকে জানায়। ম্যানেজার এবং কোচ সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানায়। বোর্ডের পক্ষ থেকে আইসিসিকে জানানো হয়। এখন আইসিসি তাদের তদন্তের মধ্যে রেখেছে। এখন আমাদের করণীয় কিছু নেই।’
স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় বিসিবির কাছ থেকে আকসু সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান শফিউল আলম চৌধুরী, ‘আকসু এ ঘটনাটা তদন্ত করবে। যেখানে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে আমরা তা করব’। এই ঘটনার পর নিজেদের কোনো দায় দেখছেন না ক্রিকেটের সংগঠক, ‘আমরা তো সবসময় চেষ্টা করি তাদের (ক্রিকেটারদের) নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা যেন পায়। কোনোভাবে যেন কলুষিত না হয় নারী ক্রিকেট। এ ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট সতর্ক থাকি।’
বড় অঙ্কের টাকা প্রস্তাব পেয়েও তা গ্রহণ করেননি লতা মণ্ডল। এ জন্য লতাসহ বাংলাদেশ দলের সব ক্রিকেটারের প্রসংশা করেন তিনি, ‘আমাদের ক্রিকেটাররা কিন্তু দেশের সঙ্গে প্রতারণা করেনি। সে ঘটনাটা জানিয়ে দিয়েছে। আমরা বোর্ডের মাধ্যমে সেটি আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের প্লেয়ারটা যেহেতু দায়িত্বশীল আচরণ করেছে, আমাদের খেলোয়াড়রা এ ব্যাপারে যথেষ্ট স্মার্ট। এটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে। আশা করব সবাই সেটি করবে। এখন আমরা আরও বেশি সতর্ক হবো।’
এদিকে মুঠোফোনে সেহেলীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার এখন কথা বলা নিষেধ আছে। আমি সব কিছু আপনাদের (গণমাধ্যমকে) বলব, সময় হলে জানতে পারবেন।’ আকসুর নিষেধ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ নিষেধ করছে।’