নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে এসে আটকে পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের কাছে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বুধবার সকালে প্রবাসীরা রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে অবস্থান নেন। প্রায় এক হাজার সৌদি প্রবাসী সেখানে বিক্ষোভ করেন। বেলা ১টার দিকে সৌদি প্রবাসীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যায়। আধা ঘণ্টার আলোচনা শেষে তারা বাইরে বেরিয়ে আসে। পরে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি প্রবাসীদের কাছে তিনি সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।
সৌদি আরবে যেতে উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ায় কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না তারা। এতে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা গত রোববার থেকে বিক্ষোভ করছেন।
তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদি আরবে যেতে না পারলে তাদের চাকরি হারাতে হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের বুকিং কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। সোমবারও কারওয়ান বাজার ও মতিঝিলে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সাইদ নামে একজন বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমার সৌদি আরবে যেতে হবে। না হলে চাকরি থাকবে না। আমার রিটার্ন টিকিটও ছিল। কিন্তু সৌদি এয়ারলাইনস এখন বলছে, এই সময়ের মধ্যে টিকিট দিতে পারবে না।
জানা গেছে, শর্ত সাপেক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয় সৌদি আরব সরকার। এরপর সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে অনুমতি চায়। একইভাবে বিমানও বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে সৌদি অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চায়।
বেবিচক সৌদি এয়ারলাইনসকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দিলেও বিমানকে অনুমতি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সৌদি এয়ারলাইনসের অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বেবিচক। এ সিদ্ধান্তের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সৌদি প্রবাসীরা।
সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের অফিসে শনিবার থেকেই টিকিটের জন্য ঘুরছেন প্রবাসীরা। তাদের অভিযোগ, লাইনে দাঁড়ালেও টিকিট দিচ্ছে না সাউদিয়া। রিটার্ন টিকিট থাকার পরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা রিইস্যু করতে নিচ্ছে এয়ারলাইনসটি। একইসঙ্গে টিকিট বিক্রি করছে ৯৫ হাজার টাকায়।