কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্কুল পড়ুয়া দুই কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী দুই কিশোরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম জয়ন্ত কুমার মোহন্ত। তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং একই ইউনিয়নের পূর্ব পানিমাছকুটি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
ভুক্তভোগী দুই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার (২১ মে) ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্ত ফোন করে ওই কিশোরদের তার দোকানে ডাকেন। তার ফোন পেয়ে দুই কিশোর তাদের আরো দুই বন্ধুসহ উপজেলা গেট সংলগ্ন জয়ন্তের দোকানে যায়। জয়ন্ত তাদেরকে আপ্যায়ন করিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
এরপর তিন কিশোরকে বাড়ির পাশের একটি দোকানে চা-নাস্তা করতে পাঠিয়ে দেন। এক কিশোরকে জয়ন্ত নিজ বাড়িতে নিয়ে গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করে। এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী কিশোরকে তার বন্ধুরা খুঁজতে আসলে জয়ন্ত আরো এক কিশোরকে আটক করেন। এ সময় অপর দুই কিশোর পালিয়ে যায়।
এরপর জয়ন্ত দ্বিতীয় কিশোরের গলায় ছুরি ধরে তাকেও বলাৎকার করেন।
কিশোররা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকদের ঘটনটি খুলে বলে। সোমবার সকালে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তাদের।
ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু ফাইন্ডিংস রয়েছে। আমারা ভুক্তভোগীদের কুড়িগ্রাম হাসপাতালে রেফার্ড করে দিয়েছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল জানান, আমরা জয়ন্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত অভিযোগের দায় সংগঠন নেবে না।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের আইনে মামলা দায়ের করেছে দুই কিশোরের পরিবার। আসামিকে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হবে।