সুন্দরবনের নদী ও খালে কুমির ছাড়া হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনের নদী ও খালে ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। ইতোমধ্যেই করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রে থেকে অবমুক্ত করার জন্য ৮ থেকে ৯ বছরের কুমিরছানা বাছাই করা হয়েছে।

এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপে রোববার বিকালে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়িয়া অভয়াশ্রম এলাকায় ৩টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রাকৃতিক নিয়মে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির কুমির সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি পাবে।

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. আজাদ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত মার্চ মাসে প্রজনন কেন্দ্র হতে ৮/৯ বছরের বয়স্ক কুমির ছানাগুলো যাছাই-বাছাই করে রাখা হয়। তবে করোনার জন্য কুমির অবমুক্ত করার প্রক্রিয়া পেছানো হয়েছিল। রোববার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান ও উপ বন সংরক্ষক কবির হোসেন পাটোয়ারী সুন্দরবনে আসেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হাড়বাড়িয়ায় প্রথম ধাপে তিনটি কুমির অবমুক্ত করেন।

এ সময় পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিন হোসেনসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিন হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা বিলম্ব হলেও আগামী বছরের মার্চের মধ্যে বনের নদী-খালে আরও ৮৭টি কুমির অবমুক্ত করা হবে। বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির প্রজাতির এ কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্দেশ্যেই ২০০২ সালে করমজলে কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলে বনবিভাগ। সদ্য ৩টি অবমুক্তের পর বর্তমানে প্রজনন কেন্দ্রে ছোট বড় মিলিয়ে ১৯২টি কুমির রয়েছে।

Share