নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : বিয়েতে দেওয়ার কথা ছিল সোনার বালা। সেখানে বরপক্ষ নিয়ে আসে ইমিটেশনের সিটি গোল্ডের (নকল সোনা) বালা। এ নিয়ে কনে ও বরপক্ষের মধ্যে বাঁধে মারামারি। বরপক্ষকে এক দিন আটকে রাখার পর অবশেষে কনেকে তালাক করিয়ে আদায় করা হয়েছে এক লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী সরকারপাড়ায়। এলাকায় ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
কনের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মো. আকবর আলী পটলের মেয়ে আঁখির (১৮) সঙ্গে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার তেবাড়িয়া চৌপথি এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. হবিবর রহমানের ছেলে মো. মফিজুল ইসলামের প্রায় আড়াই মাস আগে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। গতকাল রাতে ছিল কনে বিদায়ের দিন। ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে কনেকে নিতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন বর মফিজুল।
একদিকে বরপক্ষের খাওয়াদাওয়া চলছিল, আর অন্যদিকে কনে সাজানো হচ্ছিল। এ সময় কনের ভাবি টের পান যে বরপক্ষের দেওয়া হাতের বালা দুটি স্বর্ণের নয়, সিটি গোল্ডের।
একদিকে বরপক্ষের খাওয়াদাওয়া চলছিল, আর অন্যদিকে কনে সাজানো হচ্ছিল। এ সময় কনের ভাবি টের পান যে বরপক্ষের দেওয়া হাতের বালা দুটি স্বর্ণের নয়, সিটি গোল্ডের। এ নিয়ে বরপক্ষের সঙ্গে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। সারা রাত বরপক্ষকে আটকে রাখেন কনেপক্ষের লোকজন। আজ শনিবার দুপুরে দুই পক্ষের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের উপস্থিতিতে কনের তালাক হয় এবং ছেলেপক্ষের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।
বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজ বিকেলে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।