বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন কঠোর বিধিনিষেধে যেভাবে চলবে ব্যাংক

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ছয়টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যেও সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে। আজ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুসারে, সীমিত পরিসরে ব্যাংক ব্যবস্থা পরিচালনার লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখা হবে। এ ছাড়া ব্যাংকের প্রিন্সিপাল/প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) খোলা থাকবে। তবে লোকবল থাকবে সীমিত। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা থাকবে। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে।

বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে, সেসব শাখার গ্রাহকেরা খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সেবা পাবেন। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের গ্রাহক সেবাপ্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে শাখার দৃশ্যমান স্থানে বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করতে হবে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ও এটিএম বুথগুলো সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এটিএম বুথে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে, সেগুলো হলো গ্রাহকদের হিসাবে নগদ/চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা/অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধাসংবলিত ব্যাংকের গ্রাহকদের এবং উচ্চ সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেনের সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেনসংক্রান্ত কার্যাবলি।

এ ছাড়া সমুদ্র/স্থল/বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/উপশাখা/বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Share