বিনোদন প্রতিবেদক : প্রকৃত স্বত্বাধিকারীর অনুমতি ছাড়া ইউটিউব চ্যানেলগুলোয় প্রকাশ করা হচ্ছে গান। সেসব গান মুছে ফেলতে ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন গীতিকার হাসান মতিউর রহমান। এ সময়ের মধ্যে গানগুলো না সরালে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।
হাসান মতিউর রহমান লিখেছেন, ‘শিল্পীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু চ্যানেল তাঁদের দিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানের নামে জনপ্রিয় গানগুলি করিয়ে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে দিব্বি ব্যবসা করে খাচ্ছে। এটা যে অন্যায় এবং অবৈধ, তা জেনেশুনেই তারা এসব করছে। অনেক গায়ক-গায়িকাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন তাঁরা এ অন্যায় করে যাচ্ছেন। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা এসবের কিছুই জানেন না। চ্যানেলগুলো লাইভের নামে গান করিয়ে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে সেসব ইউটিউবে আপলোড করে। শিল্পীদের অনুমতিও নেয় না।’
সবাইকে সতর্ক করে তিনি লিখেছেন, ‘উকিল নোটিশ না পাঠিয়ে প্রথমে সবাইকে অনুরোধ করছি, আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া আমার লেখা ও সুর করা গান এ পর্যন্ত যাঁরা ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তুলেছেন, দয়া করে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে ডিলিট করে ফেলবেন। আমি চাই না এ ব্যাপারে মামলা–মোকদ্দমা হোক, আপনি এবং আমি আদালতে দৌড়াদৌড়ি করি। আইন কিন্তু কঠিন। ঠেলায় পড়ে এখন চ্যানেল থেকে শিল্পীদের বলে দেওয়া হয়, “শাহ আবদুল করিমের গান গাইবেন না।” কারণ, তাঁর ছেলে ধরেছে!’
শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিল্পী ভাই ও বোনেরা, গান গাওয়ার আগে জেনে নিন, এই গান তারা অন্য কোথাও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে কি না। যদি করে, আমার গান আমার অনুমতি না নিয়ে আর গাইবেন না। গাইলে আমি আপনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’ নিশ্চিত না হয়ে একজনের গান আরেকজনের নামে চালিয়ে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা গুরুতর অন্যায়। এ অধিকার কারও নেই। নিশ্চিত না হলে গাইবেন না। মিডিয়া থেকে সব অনাচার দূর করতেই হবে।’
অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চেনা সুরের স্বত্বাধিকারী হাসান মতিউর রহমান দেশের প্রখ্যাত গীতিকবি। তাঁর লেখা জনপ্রিয় গানগুলো মধ্যে রয়েছে ‘আমি বন্দী কারাগারে’, ‘কলমে নাই কালি’, ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’, ‘আমার লাইন হইয়া যায় আঁকাবাঁকা’, ‘রাঙামাটি পাহাড়ে, দুপুরবেলা আহারে, নাম ধরে কে বাঁশরি বাজায়’, ‘দেখা আরিচা ঘাটে শাহজালাল ফেরিতে’, ‘এবার না আসিলে বাড়িতে’ ইত্যাদি। তিনি লিখেছেন দুই সহস্রাধিক গান।