নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়ার ঘটনায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে–কে বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বাসায় টিকাকাণ্ডের পর থেকে বিষু পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে আজ মঙ্গলবার পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে। অন্য সদস্যরা হলেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ওয়াজেদ চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ও করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস।
কমিটি গঠনের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, কমিটি তিন কর্মদিবসে মেয়র বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে–কে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি চুক্তির ভিত্তিতে মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে টেকনিশিয়ান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
৭ আগস্ট গণটিকাদানের দিন বিকেলে নগরের জাকির হোসেন বাই লেনের মো. হাসান ও সাজ্জাদ নামের দুই যুবক বাসায় বিষুকে ডেকে নিয়ে টিকা নেন। এ জন্য প্রতি ডোজের জন্য এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর নিজের ফেসবুক ওয়ালে টিকা নেওয়ার ছবি আপলোড করেন হাসান। এ ছবিতে তিনি কয়েকজনকে ট্যাগ দেন। এর মধ্যে মোবারক একজন। এ ছাড়া টিকার জন্য মোবারককে ধন্যবাদ জানান হাসান।
হাসান ব্যবসায়ী। তাঁর বন্ধু সাজ্জাদও একইভাবে বাসায় টিকা নিয়েছেন। হাসান, মোবারক ও সাজ্জাদ—তিনজনের বাসা জাকির হোসেন রোডে। টিকা নেওয়ার ছবি ফেসবুক দেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে তা ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ টিকা গ্রহণকারী মো. হাসান ও সহায়তাকারী মোবারক আলীকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অপর দুই আসামি বিষু ও সাজ্জাদ পলাতক।