নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরিশালে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ছবি: এম জসিম উদ্দীনঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরিশালে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ছবি: এম জসিম উদ্দীনঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরিশাল অঞ্চলে থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে দমকা বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি। ফণীর আতঙ্কে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
ফণীর প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জোয়ার উঠেছে। এতে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বেলা দুইটার দিকে বরিশালের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পরিবেশ কিছুটা অন্ধকার হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসন বিকেল তিনটা থেকে বরিশালের সব ধরনের নৌযান এবং নদ-নদীর খেয়া পরাপারের ট্রলারও বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিকেল ৫টার মধ্যে উপকূলের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। পাশাপাশি ‘ফণীর আঘাত মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে মাইকিং করেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ কার্যকর থাকবে। একতলা লঞ্চগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার জানান, তারা কন্ট্রোলরুম খোলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মাহফুজুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা নাগাদ এটা বরিশাল উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, তালতলী উপজেলায়ও ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। মাছধরা ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরি জানান, বৃহস্পতিবারই বেশিরভাগ ট্রলার সাগর থেকে নিরাপদে আশ্রয় নিলেও তবে ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার কিনারে ফিরতে না পারায় তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু আজ খবর পেয়েছেন সে সব ট্রলার সুন্দরবনে নিরাপদে আছে।