নয়াবার্তা প্রতিবেদক : আদেশ বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষা সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।রুলে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দৌলতপুর কলেজের গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান ও কলেজের অধ্যক্ষকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবর তাদের হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মহামান্য হাইকোর্ট আদালত অবমাননার দায়ে শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিকী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা, খুলনার দৌলতপুর কলেজের (দিবা-নৈশ) গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান শাকেরা বানু ও কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম আনিসুর রহমান এর বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন। রুলে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রুলের লিখিত আদেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক কাঞ্চন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।
আইনজীবী মো. শামসুল হক কাঞ্চন বলেন, খুলনার দৌলতপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোল্লা মিজানুর রহমানকে ৫ বছর আগে বরখাস্ত করা হয়। যে অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটি দীর্ঘদিনেও প্রসিডিং শুরু করা হয়নি। গত এপ্রিল মাসে বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মোল্লা মিজানুর রহমান। রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বরখাস্তের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে তার সমুদয় পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। একারণে আমরা বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করি। আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত শিক্ষা সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন। এছাড়া দুইজনকে তলব করেছেন।