হলিক্রসের নবম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে যা উঠে এল

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহা আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এ তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রাইভেট না পড়লে অকৃতকার্য করানোর অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। তবে কঠিন প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার করে কৌশলে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার তথ্য পেয়েছে কমিটি। কয়েক শিক্ষকের প্রাইভেট পড়ানোসহ নানা বিষয়ে উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে হলিক্রসের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহা। তখন অভিযোগ ওঠে, অকৃতকার্য করানোর অপমানে সে আত্মহত্যা করেছে।

এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেহেনা খাতুন ও শিক্ষা পরিদর্শক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। কমিটির প্রধান বলেছেন, তাঁরা গত সোমবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও জমা দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রানী সি গমেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া পারপিতা ফাইহার মাসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়া কমিটি নবম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র ঢাকার নামকরা চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের (যাঁরা বোর্ডের পরীক্ষক) দিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করিয়েছে। সার্বিকভাবে কমিটি নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করাসহ আট দফা সুপারিশ করেছে।

তদন্ত কমিটিকে যা বললেন ছাত্রীটির মা : তদন্ত কমিটির সদস্যরা পারপিতার মা কামরুন নাহারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তদন্ত দলের প্রশ্নের জবাবে কামরুন নাহার জানিয়েছেন, তিনি পারপিতার আপন মা। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম বাজে ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হয়েছে। স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী, শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে পারপিতা ও তাঁদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলে তিনি জেনেছেন। পারপিতা ২০০৭ সালে ঢাকার আদ্‌-দ্বীন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে। তার একটি ছোট ভাই আছে। সে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পারপিতা নিয়মিত নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াত করত। গত ২৩ আগস্টও পারপিতা ফজরের নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াত করেছিল। সে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরুর কয়েক দিন আগে বসন্ত (পক্স) রোগে আক্রান্ত হওয়ায় স্কুল ও কোচিংয়ে যেতে পারেনি। এ জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি খারাপ ছিল। উচ্চতর গণিত, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পারপিতা ‘সিক বেডে’ পরীক্ষা দেয়। সে পরীক্ষায় পাস করতে পারবে না বলে তাঁরা অনুমান করেছিলেন। কামরুন নাহার আরও বলেন, শোভন স্যার (শিক্ষক শোভন রোজারিও) তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য অভিভাবকদের ফোন করতেন এবং প্রশ্নপত্র কঠিন করে প্রণয়ন করতেন, যেন শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হয়।

সহপাঠীদের বক্তব্য ও তদন্ত দলের মন্তব্য : তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, হলিক্রস স্কুলে দিবা শাখায় বিজ্ঞান বিভাগে ‘সি’ ও ‘ডি’ নামে দুটি শাখা এবং বাণিজ্য বিভাগে ‘ই’ নামে একটি শাখা রয়েছে। পারপিতা ফাইহার তিনটি শাখাতেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তদন্ত দল তিনটি শাখায় পারপিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীরা জানায়, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের (বৃহস্পতিবার) রেজাল্ট কার্ড দেওয়া হবে। আর অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে রেজাল্ট কার্ড দেওয়া হবে। এ নিয়ে পারপিতা খুব মানসিক চাপে ছিল। কারণ, স্কুল থেকে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবককে আলাদাভাবে ডাকার কারণে সেই শিক্ষার্থী বা অভিভাবকেরা আলাদাভাবে চিহ্নিত হন এবং অপমানিত বোধ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের শিক্ষক (রোজলিন সারা ও শোভন রোজারিও) অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে প্রায়ই টিসি দেওয়ার হুমকি দেন।
প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি মন্তব্য করেছে, পারপিতা দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় অভিভাবককে স্কুলে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে ছিল।

প্রাইভেট পড়তে কৌশলে চাপ : অভিযোগ উঠেছিল, যেসব ছাত্রী হলিক্রসের শিক্ষক শোভন রোজারিওর কাছে উচ্চতর গণিত পড়ে না, তাদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করিয়ে দেন। তবে তদন্ত কমিটি বলেছে, বিষয়টি প্রমাণিত নয়। তবে কঠিন প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে ভীতি সঞ্চার করে পরোক্ষভাবে তিনি প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করতেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

তদন্ত কমিটি হলিক্রস স্কুলের সি এবং ডি শাখার উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্চতর গণিত, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের উত্তরপত্রগুলো ঢাকার প্রতিষ্ঠিত চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ) অভিজ্ঞ শিক্ষকদের (বোর্ড পরীক্ষার পরীক্ষক) দিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করায়। মূল্যায়ন শেষে পরীক্ষকেরা লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, এই তিন বিষয়ের উত্তরপত্রের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অসংগতি যেমন অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন পাওয়া যায়নি।

তবে উচ্চতর গণিত বিষয়ের শিক্ষকেরা মতামত দিয়ে বলেন, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার সৃজনশীল অংশের প্রশ্ন কঠিন ছিল, যার উত্তর নির্ধারিত সময়ে শেষ করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। উচ্চতর গণিত বিষয়ের দ্বিতীয় অন্তের প্রশ্নপত্র এতটাই কঠিন ছিল, যা একজন শিক্ষকের পক্ষেও বোধগম্য হওয়া কঠিন। বোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণয়নের নীতিমালা অনুসরণ করে উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়নি।

তদন্ত কমিটি বলছে, শোভন রোজারিওর হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবম ও দশম শ্রেণির গণিত, উচ্চতর গণিত এবং সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি প্রমাণিত।

উচ্চতর গণিতে অর্ধেকই অকৃতকার্য!: স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চতর গণিতে নবম শ্রেণিতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ‘সি’ ও ‘ডি’ শাখায় ১০৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উচ্চতর গণিত বিষয়ে মোট ৪৯ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। আর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ৪২ জন অকৃতকার্য হয়।

তদন্ত দল শিখনঘাটতি কমানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা ছিল, সে বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক, শ্রেণিশিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু কেউ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিরাময়মূলক কোনো ব্যবস্থার তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছে, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষক শোভন রোজারিও লিখিতভাবে জানিয়েছেন, শিখনঘাটতি পূরণে প্রাইভেট পড়িয়েছেন। আর জীববিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রোজলিন সারা গমেজ ও গণিতের শিক্ষক অনিন্দ্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁরা নিজ স্কুলের নিজ নিজ বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান।

এসব প্রেক্ষাপটে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে মন্তব্য করে বলেছে, করোনার কারণে শিখনঘাটতি পূরণ করতে না পারায় এবং নবম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বিষয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বোর্ড পরীক্ষার মানে হওয়ায় অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।

মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে বিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ পায় পারপিতা : গণমাধ্যমে এসেছিল, পারপিতা ফাইহা ফাস্ট গার্ল ছিল। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পারপিতা ফাইহা নবম শ্রেণির সি শাখার শিক্ষার্থী। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে সব বিষয়ে পাস করে ২১তম স্থান নিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ওঠে। অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সময় ৩২তম স্থান অর্জন করে। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

পারপিতার মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, পারপিতা প্রথম সাময়িকে গণিত ও উচ্চতর গণিতে কোনো প্রাইভেট পড়েনি বিধায় তার প্রস্তুতি ভালো ছিল না। পরবর্তীকালে কোচিং সেন্টারে উচ্চতর গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়লেও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার আগমুহূর্তে সে পক্সে আক্রান্ত হওয়ায় গণিত ও উচ্চতর গণিত যথাযথ অনুশীলন করতে পারেনি। অসুস্থতা নিয়ে সিক বেডে পরীক্ষা দেওয়া তিনটি বিষয়ে পরীক্ষার ফল ভালো হবে না বলে তাঁরা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন।

কমিটির পর্যবেক্ষণ : অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণের জন্য শ্রেণিশিক্ষক বা বিষয় শিক্ষকের উদাসীনতা দেখতে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে উদাসীনতা, উচ্চতর গণিত বিষয়ের শিক্ষক শোভন রোজারিওর প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে অধিক মনোযোগী হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। উত্তীর্ণ ও অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফলাফল আলাদাভাবে দেওয়ায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মনে চাপ সৃষ্টি হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তীর্ণ ও অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পৃথক দিনে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির নির্দেশনায় অভিভাবকেরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। চলতি বছর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশও আয়োজন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আট দফা সুপারিশ : তদন্ত কমিটি সার্বিকভাবে আটটি সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাময়মূলক ক্লাসের ব্যবস্থা করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচি এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নীতিমালা অনুসরণ, অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র মডারেশনের জন্য কমিটি করা। এ ছাড়া নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ করা, নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বন্ধ করে পিছিয়ে পড়া বা দুর্বল শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস বা প্রাতিষ্ঠানিক কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোচিং-বাণিজ্য নীতিমালা ২০১২ বিশেষভাবে মেনে চলার সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং ব্যবস্থা জোরদার এবং প্রতি সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল দেওয়ার জন্য একই দিনে সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেছে কমিটি।

Share