আমদানিতে বাড়ছে কারসাজি

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে সোডিয়াম সালফেট আমদানি করে মেসার্স মুমু এন্টারপ্রাইজ। ৮ সেপ্টেম্বর দাখিল করা বিল অব এন্ট্রিতে পণ্যটির ঘোষিত মূল্য দেওয়া হয় প্রতিকেজি দশমিক ১০ মার্কিন ডলার। কিন্তু কাস্টম হাউস শুল্কায়ন করতে গিয়ে অ্যাসেসমেন্ট করে পায়, পণ্যটির দাম প্রতিকেজি দশমিক ১৪ ডলার, যা ঘোষিত মূল্য থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান আমদানিকারক। পরে এ নিয়ে কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট কার্যালয়ে আপিল করে কাস্টম হাউস।

কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী মামুনুর রশিদ জানান, আপিল আবেদনটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

শুধু মেসার্স মুমু এন্টারপ্রাইজের এই চালান নয়, চলতি সপ্তাহে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে ১২টি আপিল আবেদন। সবগুলো চালানে আমদানিমূল্য কম দেখানো হয়েছে। যে কারণে প্রকৃত শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের জন্য কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট কার্যালয়ে আপিল আবেদন করে কাস্টম হাউস।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্যতালিকায় থাকা আপিলের এসব চালান চারটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে। এর মধ্যে ছয়টি চালান মেসার্স বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের। বাকি ছয়টির মধ্যে দুটি মেসার্স মুমু এন্টারপ্রাইজের, তিনটি মেসার্স শুন শিং এডিবল অয়েল লিমিটেডের এবং অন্যটি মেসার্স বার্জার ফসরক লিমিটেডের।

Share