নয়াবার্তা ডেস্ক : অক্সিজেন সরবরাহ করে প্রাণিজগৎকে বাঁচিয়ে রাখে গাছ। কিন্তু এই বিশ্বে এমন গাছও আছে যা জীবন কেড়ে নিতে পারে। তেমনই একটি গাছ হল ‘ম্যানশিনীল’। বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ হিসেবেও পরিচিত ম্যানশিনীল। পরিবেশবিদরা এই গাছের নাম দিয়েছেন ‘মৃত্যুগাছ’। এই গাছ পরিবেশের জন্য উপকারী হলেও মানুষের জন্য মোটেই নয়। রূপকথার গল্পে এমন গাছের কথা শোনা গেলেও, বিজ্ঞানীরা বলছেন বাস্তবে ‘ম্যানশিনীল’ আরও বেশি ভয়ঙ্কর।
ক্যারিবীয় সাগরের তটে দেখা যায় এই গাছ। ৫০ ফুট উচ্চতার এই গাছের ফল খেলেই দেহের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে শুরু হবে। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অবধারিত মৃত্যু। এই গাছের পাতা, ছাল, ফলে দুধের মতো ঘন সাদা রঙের একধরনের রস থাকে। এই রস দেহে চামড়ার সংস্পর্শে এলে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। দেখে মনে হতে পারে যেন পুড়ে গেছে।
সায়েন্স এলার্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই রসে ফরবল নামের একধরনের বিষ থাকে। যা সহজে জলে মিশে যায়। তাই বৃষ্টির সময় এই গাছের নীচে আশ্রয় নিতে নিষেধ করা হয়। কারণ বৃষ্টির সঙ্গে এই রস মিশে শরীরের সংস্পর্শে এলে বা কোনও কারণে চোখে গেলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিও হতে পারে। তাই এই গাছের সংস্পর্শে যাতে কেউ না যান সেজন্য ওয়ার্নিং বোর্ড পর্যন্ত লাগানো থাকে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকেও বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে ম্যানশিনীলের নাম। তবে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে এই গাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমুদ্রের জল থেকে মাটিক্ষয় রোধ করে এই গাছ।