বন্যায় ২৩ প্রাণহানি, এখনও স্বজনের খোঁজে মানুষ

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ফেনী পলিটেকনিক কলেজ থেকে হাঁটুপানি মাড়িয়ে আধা কিলোমিটার সামনে গেলেই কোমরপানি। সেখান থেকে ছাগলনাইয়া ১১ কিলোমিটার দূরে। ওই সড়কে ধীরে ধীরে সামনে পানি ডিঙিয়ে এগোচ্ছেন আম্বিয়া খাতুন রত্না। কিছুদূর হাঁটতেই হঠাৎ বুকপানি। এর পর থমকে দাঁড়ান তিনি। অথৈ পানির দিকে তাকিয়ে আছেন দীর্ঘক্ষণ। হঠাৎ কেঁদে উঠলেন। বন্যায় বিপন্ন স্বজনের খোঁজে আসা রত্না থাকেন ফেনী সদর উপেজলার বিজয়সিং এলাকায় স্বামীর বাড়িতে। তাঁর বাবার বাড়ি ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর ইউনিয়নের পূর্বশিলুয়া গ্রামে। সেখানে তাঁর ভাইবোনসহ পরিবারের ২২ সদস্যের সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ নেই। প্রতিবার ফোন করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাচ্ছেন। তাই অজানা এক ভয় চেপে ধরেছে রত্নাকে। মিনিটে মিনিটে ফোন দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবারই হচ্ছেন হতাশ। দু’দিন ধরে ছাগলনাইয়া প্রবেশমুখের সড়কে এসে বাবার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে পানির ভয়ে প্রতিবারই ফিরে যাচ্ছেন। চিন্তিত রত্নার অসহায় চোখ জোড়া বলে দেয়, ভাইবোনের সঙ্গে কথা বলার জন্য কতটা উদ্‌গ্রীব। মরে গেছে, নাকি বেঁচে আছে– তাও জানেন না।

রত্নার মতো এমন শত শত স্বজন গতকাল সোমবার ফেনী পলিটেকনিক কলেজের সামনের সড়কে ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফেনী শহরে পানি কমে বিদ্যুৎ-মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হলেও ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া এখনও বিচ্ছিন্ন। কূলকিনারাহীন পানিতে ভাসছে এ তিন উপজেলা। ইঞ্জিনচালিত ট্রলার সংকটের কারণে সেখানে যাওয়া যাচ্ছে না। সামান্য কিছু ট্রলারে প্রতিদিন কিছু মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে পানিবন্দি দুর্বিষহ জীবন থেকে ফেরার চেয়ে নিখোঁজের সংখ্যাই বেশি। যারা ফিরছেন তারা বলছেন, লাখ লাখ মানুষকে ভয়াবহ বিপদ থেকে উদ্ধার করা জরুরি। পানিবন্দি জীবন থেকে ফিরে আসা কেউ কেউ লাশ ভাসতে দেখেছেন; আবার কেউ দেখেছেন মানুষের ক্ষুধার কষ্ট। শিশুর আহাজারির কথা শোনাতে শোনাতে শহরে ফিরে আসা অনেকের চোখ ভিজে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনজন হারানোর শঙ্কায় সময় গুনছেন দূরে থাকা মানুষ। জীবিকার তাগিদে নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য স্থানে থাকা মানুষ ভিড় করছেন স্বজনের খোঁজে। আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছেন প্রতিটি ক্ষণ। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বন্যার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী সদর উপজেলা থেকে শুরু করে ছয় উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি। খাবার আর পানি নিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বানভাসিদের সহায়তায় ছুটে যাচ্ছে মানুষ। ত্রাণ হিসেবে যে সুপেয় পানি জেলায় পৌঁছাচ্ছে, তাতে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। গতকাল ফেনীমুখী ত্রাণের গাড়ির স্রোত দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার অংশে ৮০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এতে অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে আটকে ছিল ত্রাণবাহী গাড়িও।

এদিকে ফেনী শহরে পানি কমে এলেও পাশের জেলা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে পানি। গতকাল বিভিন্ন এলাকায় পানির উচ্চতা বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা ও বৃষ্টির পানির চাপে গতকাল ধসে পড়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর)। পরে সেটি পুরোপুরি ধসে ছোট ফেনী নদীতে বিলীন হয়ে যায়। নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার মধ্যে আটটিতেই বন্যার পানি বেড়েছে। এসব উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি কোনো ত্রাণই এখন পর্যন্ত পৌঁছেনি। ফলে এলাকার বন্যার্ত মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিন যাপন করছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে এক সপ্তাহ ধরে যে ভয়াবহ বন্যা চলছে, তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৩। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪-এ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান বলেন, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তিন হাজার ৮৩৪ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন এবং ২৮ হাজার ৯০৭টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে ৬৪৫টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা : গতকাল ফেনীর পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী প্রবেশমুখের সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, কোমর কিংবা গলাপানিতে দাঁড়িয়ে আছেন শত শত মানুষ। সবার চোখে অশ্রু, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। উদ্ধারকারী দল দুয়েকটি ট্রলারে কিছু মানুষকে উদ্ধার করে আনছে। সেসব ট্রলার দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মানুষ। এখানে অপেক্ষায় থাকা মানুষ অন্য এলাকায় থাকেন। এক সপ্তাহ যোগাযোগ-বিচ্ছিন্নতার কারণে সর্বনাশা বন্যায় বিপন্ন স্বজনের খোঁজে তারা এখানে পাগলপ্রায়।

কাজের প্রয়োজনে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন ইকরাম হোসেন। এমন কোনোদিন নেই, ফোনে আপনজনের সঙ্গে কথা হয়নি তাঁর। তবে গত এক সপ্তাহ ফোনের সংযোগ পাচ্ছেন না। জানেন না, পরিবারের কে কোথায় আছেন, কেমন আছেন। ফেনীর ফুলগাজীতে তাঁর মা-বাবা ও দুই ভাই থাকেন। ইকরাম বলেন, বিশ্বাস করেন, আগে কখনও এত অসহায় লাগেনি। মাত্র দুই ঘণ্টার পথ। কিন্তু বাড়িতে যেতে পারছি না।

চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আতিকুর রহমানকে গতকাল ছাগলনাইয়া প্রবেশমুখের সড়কে পানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছাগলনাইয়ায় তাঁর দুই ভাই পরিবার নিয়ে থাকেন। বলেন, ‘শুধু আমার পরিবার ঢাকায়, কিন্তু সব স্বজন তো ওখানে। তাদের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে। সাধারণ শক্ত-সমর্থ মানুষেরই কত কষ্ট হয় পানির স্রোত অতিক্রম করে যেতে! যারা অক্ষম তাদের কী হবে, ভাবেন একবার!

শাহানারা বেগম জানেন না, তাঁর পরিবারের আট সদস্য কে কোথায়। তিনি ও ছেলের বউ, দু’জনকে কোনোরকমে উদ্ধার করে ফেনী সদরের ফাজিলপুর স্টেশনে রেখে গেছেন স্থানীয় লোকজন। দু’দিন ধরে তাদের দিন কাটছে স্টেশনে। শাহানারা বেগম জানান, তাঁর বাড়ি ফাজিলপুর ইউনিয়নের এক প্রান্তে। তাঁর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি ছাড়াও বাড়িতে ছেলেদের বউ ও নাতি-নাতনি মিলিয়ে ৯ জন। বুধবার রাতেই তাদের একচালা ঘর ডুবে যায়। বিদ্যুৎও চলে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেলের বউ ও তিনি পাশের একটি একতলা বাসার ছাদে গিয়ে দাঁড়ান। বাকিরা নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর জন্য পানির মধ্যে হাঁটা দেন। রাতটা আতঙ্কের মধ্যে সেখানেই কাটিয়েছেন। পরে ভোরের আলো ফোটার পর তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে রেলস্টেশনে রেখে যান স্থানীয় লোকজন। তাঁর ছেলেরা কে কোথায় আছেন, সে খবর গতকাল দুপুর পর্যন্ত পাননি।

পানিতে আটকে পড়া স্বজনদের দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত পার করছেন আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছেন অনেকে। এই যেমন ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ বলেই বসলেন, বৃদ্ধ মা-বাবা আর ছোট ভাইয়ের চিন্তায় ঘুম আসে না। রাত যত বাড়ে, তত ভয় লাগে; বুক ধড়ফড় করে।

গতকাল ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া থেকে শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গতকাল ফেনী শহরে এসেছেন তিন বোন প্রিয়া, রিংকু ও সাবরিনা। তাদের স্বামী কেউ থাকেন বিদেশে, কেউ ঢাকায়। এক বাড়িতেই তারা থাকতেন। দীর্ঘ এক সপ্তাহ ভাত চোখে দেখেননি। বিস্কুট, মুড়ি, চিড়া খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। কাতর কণ্ঠে তিন বোন বলেন, আমাদের অনেক আত্মীয় আটকে আছেন। বেশির ভাগ মানুষ বাসার ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের উদ্ধার করা দরকার। অনেক মানুষের মৃত্যুর খবর শুনেছি; কিন্তু কবর দেওয়ারও জায়গা নেই। অনেক লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সুপেয় পানি সোনার হরিণ! : ফেনীতে প্রতিদিন ত্রাণ নিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বানভাসিদের সহায়তায় ছুটে আসছেন মানুষ। গতকাল দাগনভূঞার কামাল আতাতুর্ক উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ নিয়ে আসে একটি দল। তারা যখন প্যাকেট বিতরণ করছেন, তখন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নারী-পুরুষের চিৎকার কানে আসছে– ‘ভাই, পানি দেন, পানি দেন।’

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন অনেক ত্রাণ আসছে। কিন্তু বানভাসি মানুষের সবচেয়ে বেশি দরকার সুপেয় পানি। অনেকেই সরাসরি বলছেন, আমাদের পানি দেন, ত্রাণের দরকার নেই। আবদুল খালেকের বাড়ি ফেনী সদরের ফাজিলপুর ইউনিয়নের সূর্যছায়া এলাকায়। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় কাদেরিয়া স্কুল ভবনে। তিনি বলেন, ত্রাণ পেলেও আমাদের বেশি দরকার পানি। ক্ষুধা চেপে রাখলেও তৃষ্ণা চেপে রাখা কষ্ট।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বলছে, শনিবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর সাত পৌরসভা ও আট উপজেলার ৮২ ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২১ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বন্যায় নোয়াখালীতে পাঁচজন মারা গেছেন। জেলায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরেও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রোববার রাতে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত। পানিবন্দি আছেন লক্ষাধিক মানুষ। দেখা দিয়েছে ত্রাণ ও সুপেয় পানির সংকট।

কুমিল্লায় বন্যাদুর্গত ১৪ উপজেলায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সহায়তা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও নৌযান সংকটের কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গোমতীর পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙনের ফলে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। নাঙ্গলকোটে আগের রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত উপজেলার রায়কোট উত্তর ও মৌকরা ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ডুবে সিরাজুল হক ও তিতা মিয়া নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বুড়িচং উপজেলা সদর ও পশ্চিম সিংহ এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে মো. ইব্রাহিম (৪) ও হাসিবুল ইসলাম (১০) নামে দুই শিশু। ইব্রাহিম উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম সিংহ দক্ষিণপাড়া ফকিরবাড়ি গ্রামের আল-আমিনের ছেলে। হাসিব উপজেলা সদরের আরাগ আনন্দপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মনু নদীতে পানি কমেছে; উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। নদীর পানি কমায় মনু ও ধলাই নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করেছে মৌলভীবাজার পাউবো। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে গত দু’দিনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

যশোরে রোববার রাতের ভারী বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গতকাল ভোর ৪টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল শহর। বন্যায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে বেশি দামে শুকনো খাবার বিক্রির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ব্যবসায়ীকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Share