নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারীর মধ্যে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সবকিছু লকডাউন হলেও গণমাধ্যম খোলা থাকছে। সামাজিক গণমাধ্যমে নানা ধরণের গুজবের বিরুদ্ধেও সাংবাদিকরা স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। এপর্যন্ত দেশে প্রায় একশো গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আমরা কয়েকজন সাংবাদিককে হারিয়েছি। আমি যারা মারা গেছেন তাদের রুহের মাগািফরাত কামনা এবং যারা অসুস্থ আছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি।
মন্ত্রী বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য যে, এই সংকটকালীন সময়ের মধ্যেও কিছু গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের চাকরীচ্যুত, ছাটাই করা হচ্ছে। অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বেতনও দিচ্ছেনা। মন্ত্রী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অন্তত করোনার এই সংকটকালে কোনো সাংবাদিককে চাকরীচ্যুত বা ছাটাই করবেন না। যাদের বেতন বাকি আছে তাদের বকেয়া পরিশোধ করুন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সবসময় মন্ত্রী ছিলাম না বা থাকবো না, কিন্তু আমি সব সময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো। সেইসাথে দুঃস্থ সাংবাদিকদের জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব কিছু করার চেষ্টা করছি, শিগগিরই কিছু করতে পারবো বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) এবং কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সী রেসপন্স এন্ড প্যান্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল কবীর বলেন, সাংবাদিকরা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিৎ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিআরইউর পাশে থাকবে। ইতিমধ্যে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য সরকারের উদ্যোগের নির্মিতব্য বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পেতে সাংবাদিকরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানান তিনি।
এছাড়াও পর্যায়ক্রমিকভাবে সাংবাদিকদের করোনা ভাইরাস টেস্ট, টেলিমেডিসিন সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা ও অ্যাম্বুলেন্স সেবার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্বাত্বক সহায়তা করবে বলে জানান ড. ইকবাল।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও ডিআরইউ কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সী রেসপন্স সাব-কমিটির আহবায়ক নজরুল কবীর, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ ও ডিআরইউর জ্যেষ্ঠ সদস্য মোতাহার হোসেন।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, দপ্তর সম্পাদক মো: জাফর ইকবাল, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান বাবলু, সায়ীদ আবদুল মালিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে কিছু কেএন-৯৫ মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিই ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের পক্ষে ডিআরইউ সদস্যদের জন্য ২০০ পিপিই হস্তান্তর করা হয়।
ডিআরইউ কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সী রেসপন্স কমিটি গঠন : এদিকে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি সদস্যদেরকে করোনাকালীন সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সাত সদস্যের ডিআরইউ কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সী রেসপন্স কমিটি (ডিআরইউ সিইআরসি) গঠন করা হয়েছে। এর আহবায়ক হলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নজরুল কবীর ও সদস্য সচিব হলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।