নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করা হলে এ আদেশ দেওয়া হয়।
এদিন দুই দফা রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনাকে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে প্রথম দফায় ৩ দিন আর দ্বিতীয় দফায় ২ দিন সাবরিনাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, রিমান্ডে সাবরিনা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে পুলিশের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান, আরিফ দম্পতির যোগসাজসেই করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই চার্জশিট দেয়া হবে।
প্রায় ১৬ হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন গ্রেপ্তার হন তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর ১২ জুলাই দুপুরে আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানার করা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থ নিচ্ছিল জেকেজি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল। এ অভিযোগে সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৩ জুলাই সাবরিনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান। এরপর শুক্রবার তেজগাঁও থানার প্রতারণা মামলায় দ্বিতীয় দফায় তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।