নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে আসামি ৭ পুলিশ সদস্য কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এনে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আজ আদালতে আসামি ৯ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৭ জন আত্মসমর্পন করেন। দুজন আজ আত্ম সমর্পন করেননি।
চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করা পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর সাত আসামি হলেন, উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত ও টুটুল, সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া, কনেস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, মো, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আট পুলিশ পরিদর্শক এবং পরে বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে আত্মসমর্পণের জন্য কক্সবাজার আদালতে আসেন প্রদীপ কুমার। পরে শুনানি শেষে সন্ধ্যার দিকে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
হত্যা মামলা থাকার পরও কেন প্রদীপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে এর আগে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রদীপ নিজ থেকেই আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ পাহারা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ওসি প্রদীপ অসুস্থ দাবি করে ছুটি নিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে যান। পরে চট্টগ্রামে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওসি প্রদীপের বাড়ি চট্টগ্রামে। কক্সবাজারের আগে তিনি চট্টগ্রামের কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জায়গা দখলসহ নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির বড় বোন শারমিন । আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।