নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : নিজের ১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন সানা খান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার একটি পোষ্টের মাধ্যমে তিনি এটি নিশ্চিত করেন।
ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করার জন্য অভিনয় ও বিনোদন জগতকে স্থায়ীভাবে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে সানা বলেন, তিনি ধর্মকে অনুসরণ করতে চান, ধর্মের জন্য কাজ করতে চান। তাই অভিনকে বিদায় জানানো।
পোস্টে লেখেন, জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। বিনোদন জগতে আমি বহু বছর ধরে ছিলাম। এই সময়ে আমি ঈশ্বরের কৃপায় বহু খ্যাতি, অর্থ ও ভক্তদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। যার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু কিছুদিন ধরেই একটা জিনিস ভাবছি, পৃথিবীতে মানুষের আসা কি অর্থ ও খ্যাতির পিছনে দৌঁড়ানোর জন্য? দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য কাজ করা কি কর্তব্য নয়? একজনের কি ভাবা উচিত নয় যে তিনি যেকোনও মুহূর্তে মারা যেতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি। বিশেষ করে জানতে চাই মৃত্যুর পরে আমার কী হবে? পৃথিবীতে মানুষের আসা মানেই কি অর্থ ও খ্যাতির পিছনে দৌঁড়ানো?
সানা আরও বলেন , প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার ধর্মের মধ্যে খুঁজতে যাই। বুঝতে পারি, এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের উন্নতির জন্য কাজ করা দরকার। সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মতো যদি একজন ভৃত্য তার জীবনযাপন করেন তাহলেই ভালো। সবসময় অর্থ ও খ্যাতির পিছনে ছুটলেই সেটা হয় না। বরং পাপের রাস্তা ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথেই হাঁটা উচিত।
২০১২-১৩ সালে বিগ বসের মঞ্চে সিজন ৬- এর ফাইনালিস্ট ছিলেন সানা। এই শোয়ের জেরেই খ্যাতির শিখরে পৌঁছান নায়িকা। তবে গ্ল্যামার দুনিয়ায় তার পথচলা শুরু ২০০৫ সালে। হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু ছবিতেও অভিনয় করেছেন সানা- তবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি নিঃসন্দেহে সালমান খানের সঙ্গে ‘জয় হো’ এবং ইরোটিক থ্রিলার ‘ওয়াজাহ তুম হো’। সানাকে শেষ দেখা গিয়েছে হটস্টারের ‘স্পেশ্যাল ওপস’ ওয়েব সিরিজে।
এরপরই তিনি বলেন, আজ থেকে বিনোদন জগত থেকে চিরকালের মতো বিদায় নিলাম। আজ থেকে মানবিকতার জন্য কাজ করব এবং সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে চলব। প্রত্যেক ভাইবোনকে আল্লাহর কাছে আমার জন্য প্রার্থনা করতে বলছি যাতে আমায় এই কাজে তিনি অনুমতি দেন এবং গ্রহণ করেন। আমার সমস্ত ভাইবোনদের অনুরোধ করব, তারা যেন আমার সঙ্গে বিনোদন জগত নিয়ে আর কোনও আলোচনা না করেন। ধন্যবাদ।
এর আগে গত বছরই বলিউডকে চিরতরে বিদায় জানান অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। জানান ‘ইমানের প্রতি দায়বদ্ধ’ থাকতেই এই সিদ্ধান্ত।