অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলবে ট্রেন

ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে যাত্রী বসা নিষেধ। তারপরও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে এভাবে চলাচল করেন

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : দেড় মাসের বেশি সময় পর পুনরায় যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার ২৮ জোড়া আন্তনগর ও ৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন দিয়ে চলাচল শুরু হবে। তবে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপে কাটতে হবে। যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।

আজ দুপুরে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপরই রেলওয়ে সীমিত আকারে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, শনিবার রাতেই রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন কর্মকর্তাদের। রেলের টিকিট প্রিন্ট করার কাজ করে সিএনএস লিমিটেড। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ার পর টিকিট বিক্রি শুরু হবে। বিকেল চারটা পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়। এ ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে।

আগামীকাল থেকে যেসব আন্তনগর ট্রেন চালু হবে, এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের তিন জোড়া ট্রেন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলী/তূর্ণা এক্সপ্রেস ও মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা এক্সপ্রেস।

ঢাকা-সিলেট পথে চলাচল করবে পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী পথে চলাচল করবে বনলতা এক্সপ্রেস ও পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা পথে সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস চলাচল করে।

এর বাইরে ঢাকা-পঞ্চগড় পথের একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা-রংপুর পথের একমাত্র ট্রেন হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস। ঢাকা-লালমনিরহাট পথে চলবে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন। ঢাকা-চিলাহাটির পথে চালু হচ্ছে নীলসাগর এক্সপ্রেস। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হবে কাল। ঢাকা-নোয়াখালী পথের একমাত্র আন্তনগর ট্রেন উপকূলও কাল চালু হচ্ছে।

মেইল ও কমিউটার ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী, সাগরিকা, বলাকা, জামালপুর কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল, মহানন্দা, পদ্মরাগ ও উত্তরা এক্সপ্রেস।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলে আন্তনগর, মেইল, লোকাল ও কমিউটার মিলে ১৭৭ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ৫৪ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। মেইল ও কমিউটার ট্রেনের সংখ্যা ৬০ জোড়া। আর লোকাল ট্রেন চলাচল করে ৬০ জোড়া।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি ওঠেনি বলে সব ট্রেন চালু করা যায়নি। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন চালু করা হবে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে ৫ মে সরকার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অল্প কিছু মালবাহী ও পার্সেল ট্রেন চলাচল করেছে। রেলওয়ে সূত্র বলছে, সীমিত ট্রেন চালু করলে ব্যবসায়িকভাবে তাদের ক্ষতি হয়। এ জন্য সব ট্রেন একসঙ্গে চালুর পক্ষে ছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকার পুরোপুরি বিধিনিষেধ তুলে নেয়নি। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর ট্রেন চালু করার জন্য কারিগরি প্রস্তুতির প্রয়োজন। সেই সময়টা পাওয়া যায়নি।

Share