নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘আদম’ সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল করে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জামিল হাসানের পক্ষে বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট মো. ইসমাঈল হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
মন্ত্রি পরিষদ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, ‘আদম’ সিনেমার পরিচালক আবু তৌহিদ হিরণ, প্রযোজক তামিম হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ‘আদম’ সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল ও প্রদর্শন বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তথ্য সচিব বরাবর গত ১২ এপ্রিল আবেদন করেন জামিল হাসান।
আবেদনে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির জন্য ‘আদম’ নামীয় একটি বাংলা সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে। একজন সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই সিনেমার ট্রেইলার এবং এই নিয়ে নেটিজেনদের মন্তব্য দেখেছি। এরপর দেশের নানান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট পড়ে জানতে পারি ২০২২ সালে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ চলচিত্র সেন্সর বোর্ড গত ১৯ নভেম্বর সিনেমাটি প্রদর্শনের জন্য সেন্সর সনদপত্র প্রদান করেছে।
সিনেমাটিতে মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে ধর্মীয় উসকানি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজানের পর ঈদুল ফিতরে এই ধরনের ধর্মীয় উসকানিমূলক সিনেমা মুক্তি দিলে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
আবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে আগ্রহী। সিনেমাটিতে একইসঙ্গে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো সংলাপ ও দৃশ্য রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। যা আমাদের সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমতাবস্থায় উক্ত সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল করে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধ করা প্রয়োজন।
আইনজীবী ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেন্সর আপিল কর্তৃপক্ষ আদম ‘সিনেমা’র সেন্সর সনদ বাতিল ও প্রচার-প্রদর্শন বন্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেছি। আগামী রোববার শুনানির জন্য রিটটি বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকায় আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।