উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন দাবির প্রতিক্রিয়া

আবু সাঈদ আল মাহমুদ, জাতীয় সংসদের হুইপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বিভিন্ন সময়ে লবিংয়ের মাধ্যমে পশ্চিমা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নানা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নানাবিধ লেখালেখি করেন, গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রচার করেন। ওই দেশগুলোতে লবিং ফিস গ্রহণ তাদের আইনে বৈধ। কিন্তু আমাদের দেশের আইনে এ ধরনের ফিস গ্রহণ বা প্রদান উভয়ই অপরাধমূলক কার্যক্রম। যে দেশের আইনে যাই বলা হোক—এই ধরনের ফিস গ্রহণ নৈতিকতা পরিপন্থি।

যারা প্রতিনিয়ত এথিকসের কথা বলেন, লবিং মানি গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের এথিকস আই অন্ধ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন জানিয়েছিলেন, জনমত গঠনে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার গণহত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে, তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে সর্বান্তকরণে। কিন্তু আমরা সেই দগদগে ঘা মুছে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন করেছি এবং তা ধরে রেখেছি।

জঙ্গিবাদ দমন করে শান্তিময় পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য নীতির সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি। কিন্তু তাদের কতিপয় জনপ্রতিনিধি, ফার্মস এবং সরকারি কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশের দেশবিরোধী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক সেবায় মুগ্ধ হয়ে কিছু খণ্ডিত তথ্য বিশ্বাস করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করছেন—যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

যারা এই বিবৃতি বা অনুরোধপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও পাঠের অনুরোধ করছি। ২০২২ সালেও বাংলাদেশের গণতন্ত্র সূচক দুই ধাপ এগিয়েছে। আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে অতীতে তাদের সেবাদাসগণ অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু এখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পেশাদার, রাজনীতি নিরপেক্ষ এবং উন্নত শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারক হিসেবে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় প্রথম সারির অবদান রেখে চলা চৌকষ বাহিনী। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় সম্পদ এবং গর্ব করার মতো ইতিবাচক ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের র‌্যাব জঙ্গিবাদ দমন, মাদক প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করার পূর্বে ওইসব বিদেশিদের এই অঞ্চলের শান্তি রক্ষার বিষয়ে মনোনিবেশ করা সমীচীন। আজকের বাস্তবতায় অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবলমাত্র বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি রক্ষার জন্য একজন অপরিহার্য রাষ্ট্রনেতা। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের অবস্থান ও অপরিহার্যতা বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বিবৃতিও ইঙ্গিত বহন করে।

Share