
গাজী আবু বকর : আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট-এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ১ লাখ। শুধু তাই নয়, বিগত পাঁচ বছরে এবারই সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এবার পরীক্ষায় বসছে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন পরীক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন। এবার সারা দেশে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি গত মঙ্গলবার কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সম্প্রতি এসএসসি ও সমমানের গণিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। ২০২৩ সালে ছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন, ২০২২ সালে ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন এবং ২০২১ সালে ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদিকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকায় আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ১৩টি কেন্দ্র বাতিল করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বাতিল কেন্দ্রগুলোর কোডসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার উদ্বেগজনক। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে গত সাত বছরে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ২৮ লাখ ২ হাজার ৭১৫ জন শিক্ষার্থী। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারলে তাদেরই গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। তবে গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সাত বছরের শ্রেণি কার্যক্রমে প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষার স্বাভাবিক পথ থেকে ছিটকে পড়েছে। গড়ে প্রতি বছর ২ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন অধ্যাপক এসএসসিতে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার দুটি কারণ তুলে ধরে বলেন, এখানো শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বন্ধ হয়নি। উপবৃত্তি চালু করায় একসময় শিক্ষার্থী বেড়েছিল। কিন্তু উপবৃত্তির পরিমাণটা এখন এমন যে, তা দিয়ে আর অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা যাচ্ছে না। আর করোনার পর থেকে অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ ধারার পড়াশোনা ছেড়েছে। একই সঙ্গে ইবতেদায়ি তথা আলিয়া ধারার মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী কম ভর্তি হচ্ছে। অনেকে হাফেজি পড়ছে, কওমি ঘরানার মাদ্রাসায় ভর্তি হচ্ছে। ফলে সাধারণ ধারার পড়ালেখায় শিক্ষার্থী কমছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠানসংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ৩৪ হাজার ৯২৮ জন ছাত্রী। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত মাসে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী কেন কমেছে, তা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। সভায় উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেননি।
মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ নির্দেশনা:- বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে আজ শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা, যা শেষ হবে (তত্ত্বীয় পরীক্ষা) ১৩ মে। এরপর ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে। এবারের এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলার তিন ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আর কেন্দ্রের আশপাশে ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নন, এমন কেউ চলাচল করতে পারবেন না। এসএসসি-সমমান পরীক্ষার শুরুর দিন ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘সাধারণত কেন্দ্রের আশপাশে ২০০ গজের মধ্যে শুধু পরীক্ষার তিন ঘণ্টা ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তবে কেন্দ্রভেদে এ দূরত্ব কমবেশি হতে পারে। কেন্দ্রের আশপাশে কতটুকু জায়গা ১৪৪ ধারার অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। পরীক্ষা চলার সময়ে সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্য কেউ ঐ লাল পতাকা অতিক্রম করে কেন্দ্রের কাছে যেতে পারবেন না।’ এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে আয়োজনে ঐ পরিপত্রে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঐ পরিপত্রটি সব বিভাগীয় কমিশনার, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সব জেলা প্রশাসকদের পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসরোধে কঠোর নির্দেশনা:- এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রফাঁস-সম্পর্কিত গুজব ও নকলরোধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব অপরাধ করলে পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ড ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো:- ১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে; ২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে; ৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না; ৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে; ৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে; ৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ঙগজ ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না; ৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে; ৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না; ৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না।পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে; ১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে; ১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না; ১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে; ১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে; ১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
২০২৫ সালের এসএসসির কোন পরীক্ষা কোনো দিন:- ১০ এপ্রিল: বাংলা প্রথম পত্র/সহজ বাংলা প্রথম পত্র; ১৫ এপ্রিল: ইংরেজি প্রথম পত্র; ১৭ এপ্রিল: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র; ২১ এপ্রিল: গণিত; ২২ এপ্রিল: ধর্ম (ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা); ২৩ এপ্রিল: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি; ২৪ এপ্রিল: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান/ কৃষিশিক্ষা/ সংগীত/ আরবি/ সংস্কৃত/ পালি/ শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া/ চারু ও কারুকলা; ২৭ এপ্রিল: পদার্থবিজ্ঞান/ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা/ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং; ২৯ এপ্রিল: রসায়ন (তত্ত্বীয়)/পৌরনীতি ও নাগরিকতা/ ব্যবসায় উদ্যোগ; ৩০ এপ্রিল: ভূগোল ও পরিবেশ; ৪ মে: বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়); ৬ মে: জীববিজ্ঞান/অর্থনীতি; ৭ মে: হিসাববিজ্ঞান; ৮ মে: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়; ১৩ মে: বাংলা প্রথম ২য় পত্র/ সহজ বাংলা-২য় পত্র।