করোনাভাইরাসের কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি হতে দেবেন না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশের জনগণকে খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে না।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেই আমরা একটি ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, এভাবেই আমাদের বাঁচতে হবে। তবে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে প্রতিটি মানুষ তার নিজের বাড়িতে খাবার পান।’

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) নগরীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার খাদ্য উৎপাদনে অপরিসীম গুরুত্ব দেয়। এ জন্য সবাইকে তাদের জমিতে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে, সেগুলোর আকার যেমনই হোক না কেন।

কোভিড-১৯ যখন দেশে আঘাত হানে সরকার তখন খাদ্য উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করেছিল এবং বর্ধিত খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা থাকা উচিত। পুরো বিশ্ব যেমন স্থবির ছিল, তাতে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি অবশ্যই বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে না… বাংলাদেশের মানুষকে খাদ্য ঘাটতিতে ভুগতে হবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সরকার ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা জিডিপির চার শতাংশ।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহামারিকালে শুধু কৃষি খাতের জন্যই পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

মহামারি চলাকালীন অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং জনগণের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ সরবরাহ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

খাদ্য ঘাটতি থেকে বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী দেশে পরিণত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করা। বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা তার স্বপ্ন ছিল এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ দোংইয়ুর একটি রেকর্ডকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়।

Share