নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে করোনার টিকা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি সভাও করেছি। যেখানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। তাঁদের প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করতে বলেছি। গোপালগঞ্জে যে ওষুধ কারখানা আছে, সেখানে বা তার পাশে আমরা টিকা তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সেটার জন্য একটু সময় লাগবে, তবে এখনই কাজ শুরু হয়ে গেছে।’
আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সদরের গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামে নিজ বাড়িতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যৌথভাবে করোনার টিকা তৈরি করতে চীন ও রাশিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকার অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে যাদের সক্ষমতা আছে, তাদের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা তৈরির অনুমোদন দেওয়া হবে।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। দুই পক্ষেরই সম্মতির বিষয় থাকে, সেই বিষয়গুলো আমরা অতিক্রম করেছি। চুক্তি স্বাক্ষরে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। তবে রাশিয়ার কাছ থেকে খুব একটা বেশি টিকা পাব না। কারণ, তাঁদের উৎপাদনের ক্ষমতা এত বেশি নয়।’
মডার্না খুব ভালো মানের টিকা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে মডার্নার টিকা পাওয়া যাবে।
বেশ কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে। ভারতীয় ডেলটা ভেরিয়েন্ট সারা দেশে ছড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে এই ভেরিয়েন্ট ছড়িয়েছে। এই ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। রাজশাহী ও খুলনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগ ও জেলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। ঢাকা শহরেও সংক্রমণের হার বাড়ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সারা দেশে হাসপাতালে পাঁচ হাজার করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এ হারে যদি সংক্রমণ বাড়ে আমরা হাসপাতালে জায়গা দিতে পারব না। চিকিৎসা দিতেও আমাদের হিমশিম খেতে হবে। এসব তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ কমাতে লকডাউন কার্যকর করতে হবে।’