WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_37b_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SHOW FULL COLUMNS FROM `nb_postmeta`

করোনায় আক্রান্ত পপির শ্বাসকষ্ট কমেছে

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনা আক্রান্তের পর কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও কাশিতে ভুগছিলেন চিত্রনায়িকা পপি। ছিল ব্যথা আর জ্বরও। তবে আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে তিনি জানান, রাত থেকে শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো। কাশি কিছু কমেছে, শ্বাসকষ্টও কম মনে হচ্ছে।

পপি জানালেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটি শুরুতে কাউকে জানাতে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, সুস্থ হলেই বিষয়টি সবাইকে জানাব। কিন্তু এর মধ্যে কীভাবে যে ছড়িয়ে গেল…! তাই সংবাদমাধ্যম থেকে আমাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, তখন জানিয়েছি।’

এদিকে পপির বাবা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে করোনায় আক্রান্ত নন। এমনকি পপির কোভিড-১৯ পরীক্ষাই করা হয়নি। করোনা নিয়ে বাবা-মেয়ের তথ্য দুরকম কেন? আজ শনিবার সকালে পপি প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি শুরু থেকেই কাউকে জানাতে চাইনি। পরিবারের লোকজনকেও জানাতে নিষেধ করেছি। তাই হয়তো বাবা এমনটি করেছেন।’

পপির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। পপি বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান, করোনায় আক্রান্তের খবর শুনে আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবেরা সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সাহস দিচ্ছেন। চলচ্চিত্রের সহকর্মীরা খবরটি শোনার পর থেকে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেছেন। যদিও অনেক ফোন ধরতে পারছি না, তবে সবার আন্তরিকতায় আমার খুব ভালো লেগেছে, শক্তি আর সাহস পেয়েছি, সবাই আমাকে এতটা ভালোবাসেন দেখে। সবাই আমাকে নিয়ে ভাবছেন, এটা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় একটা আশীর্বাদ।’

পপি জানালেন, তাঁর জীবনযাপন স্বাভাবিক আছে। তিনি বলেন, ‘আমার খাওয়াদাওয়া করতে অসুবিধা হচ্ছে না। মুখের রুচি একদম ঠিক আছে। মা প্রতিদিন মজার মজার রান্না করছে, আমিও খাচ্ছি। মসলা, লেবু দিয়ে চা পান করছি। এসব খেতে খুব ভালো লাগছে।’

এর আগে পপি জানান, বেশ কিছুদিন হলো তাঁর জ্বর ছিল, সঙ্গে কাশি। মাঝে জ্বর কমেও গিয়েছিল। কিন্তু শরীর ভালো লাগছিল না। একসময় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হচ্ছিল। পরে পরিবারের লোকেরা করোনার জন্য নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। গত বুধবার সেই ফল হাতে পেয়েছেন তিনি। বাসায় আলাদা থেকে পারিবারিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খুলনায় নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন তিনি।

এর আগে পপিদের বাসার কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন? পপি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে বেশ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করছিলাম। তবে কিছুদিন ধরে রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের খাবার বিতরণ করেছি। এর বাইরে কোথাও বের হইনি। কীভাবে কী হলো, বলতে পারছি না। তবে সবার ধারণা ওখান থেকেই কিছু একটা হয়েছে।’

Share