ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন আইনজীবী মামুন মাহবুব

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধান বিচারপতি ও বিচার বিভাগ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যে দোষ স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আদালত অবমাননা থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় নিয়ে রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল তাকে নিষ্কৃতি দিয়েছে।

আদালত অবমাননার মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেওয়া এই রায় ঘোষণা করেন বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। আপিল বিভাগে আইনজীবী মামুন মাহবুবের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম, সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব তখন আপিল বিভাগের প্রধান বিচার কক্ষে সশরীরে হাজির ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত করা হয়।

এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে হাজির হয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। এছাড়া বিরূপ ওই মন্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না সেই বিষয়ে ১৯ আগস্টের মধ্যে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়।

আদালতে মামুন মাহবুব বলেন, ‘ফেসবুকে মন্তব্য করে আমি গুরুতর অপরাধ করেছি। আমি অনুতপ্ত।’
সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া এ রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আদালত রায়ে বলেছেন, যেহেতু কন্টেমপটনার (আইনজীবী মামুন মাহবুব) তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এবং আদালতকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের অবমাননাকর কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এই বিবেচনায় এ মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আর চলানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিচালিত এ মামলার যে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে সেটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।’

গত ১১ আগস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে উচ্চ আদালতে ১৮টি বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ চলা এবং প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

১২ আগস্ট বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, এ ধরনের স্ট্যাটাস বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে।

Share