নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে হামলার দাবি করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএসের দাবি, গতকাল সোমবার তাদের যোদ্ধারাই এ হামলা চালিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন পর্যবেক্ষণকারী ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’, নামে ওয়েবসাইটে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া আইএসের গতিবিধি বিশ্লেষক রিটা কাটজ মঙ্গলবার ভোরে এক টু্ইট বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন।
রিটা কাটজ তার টুইট বার্তায় লিখেন, বাংলাদেশে হামলা চালানোর দাবি করেছে আইএস। আইএস-এর বক্তব্য দাবি করে এর একটি স্ক্রিনশটও রিটা কাটজ টুইটারে দিয়েছেন।
এছাড়া জাপান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, দুই বছরের বেশি পর আইএস বাংলাদেশে আবার হামলা চলানোর দাবি করেছে।
জাপান টাইমসের খবরে আরো বলা হয়েছেচ, আইএসের দাবি, তারা বাংলাদেশে একদল পুলিশের ওপর ‘বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ’ ঘটিয়ে হামলা চালিয়েছে। হামলায় তিন জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে আইএসে দেয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চে সিলেটে এক হামলার দাবি করে আইএস।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ককটেল (বোমা) হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। সোমবার রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকায় দুই মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া ঘটনার সময় ওই এলাকার আহাদ পুলিশ বক্স লক্ষ্য করেও বোমা হামলা চালানো হয়।
আহতরা হলেন, ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭) ও মো. লিটন এবং কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৬)। তাদেরকে প্রথমে রাজারবাগ পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান বলেছেন, হঠাৎ করে এ ধরনের হামলা কেন তার গভীরে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। হামলাকারী কে বা কারা তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) বজলুর রহমান বলেছেন, তারা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্বে ছিলেন। হঠাৎ দূর থেকে তাদেরকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল হামলা চালানো হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে নজরুলের মাথায়, লিটন ও আশিকের পিঠে আঘাত রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব ও সিআইডির টিম সেখানে ছুটে যান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে ঘটনাস্থল ঘেরাও করে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকেও ডাকা হয়। তারা সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ জব্দ করে অপরাধীদের ছবি শনাক্ত করার চেষ্টা চলে।