বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাংপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে গোলাগুলির ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে খামতাংপাড়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার দুপুরে রোয়াংছড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার দুপুরে রোয়াংছড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান আটজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে বিশেষ এক ধরনের পোশাক রয়েছে। তবে এখনো তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী খামতাংপাড়া এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার ২০টির মতো পরিবার আশ্রয় নিয়েছে রুমা উপজেলা সদরে। নারী–শিশুসহ ১৮৩ জন এসে আশ্রয় নিয়েছেন রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বান্দরবান সদর জোনের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফাহিম সাংবাদিকদের বলেন, খামতাংপাড়া ও তার পার্শবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও উৎপাতে থাকতে না পেরে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর রোয়াংছড়ি ক্যাম্পে চলে এসেছেন। বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী তাঁদের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এখানে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হবে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় তাঁদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
এর আগে গত ১২ মার্চ রোয়াংছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কেএনএর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের অতর্কিত গুলিবর্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন দুজন সেনাসদস্য।