নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : ‘আমি সিরাজের বেগম’, ‘জয় বাবা লোকনাথ’, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’, ‘খনার বচন’ ও ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’র ইউনিটে যে শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা কাজ করেছেন, তাঁরা সিরিয়ালগুলোর প্রযোজক রানা সরকার আর তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার কাছ থেকে পারিশ্রমিকের টাকা পাননি। এই পাঁচটি সিরিয়াল থেকে শিল্পীদের বকেয়া ছিল প্রায় তিন কোটি রুপি আর টেকনিশিয়ানদের পাঁচ কোটি রুপি। এই বকেয়া পারিশ্রমিকের কারণেই গত এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় এই পাঁচটি সিরিয়ালের কাজ। বকেয়া আদায়ের জন্য শিল্পীদের সংগঠন আর্টিস্টস ফোরাম ধর্মঘটের হুমকি দেয়। এরপর টিভি চ্যানেল আর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু বকেয়া পারিশ্রমিক আদায় করা সম্ভব হয়।
এবার জানা গেছে, বকেয়া পারিশ্রমিক আদায়ের জন্য গতকাল শুক্রবার ভারতের বাংলা টিভি চ্যানেলে এ সময়ের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘দেবী চৌধুরাণী’ আর ‘সৌদামিনীর সংসার’-এর শুটিং বন্ধ রাখা হয়। এই তিনটি সিরিয়ালের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সুব্রত রায় প্রোডাকশনস। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনেক দিন থেকেই শিল্পী ও কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার অভিযোগ রয়েছে।
আর্টিস্টস ফোরামের পক্ষ থেকে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
পাওনা আদায়ের জন্য এর আগে আরও একবার এই তিনটি সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছিল। তখন এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানায় ফেডারেশন অব সিনে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড টেকনিশিয়ান্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। সংগঠনটির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, টেকনিশিয়ানদের পক্ষে অনির্দিষ্টকাল পারিশ্রমিক না পেয়ে কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। পরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আশ্বাসে শুটিং শুরু করেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
এদিকে আর্থিক সংকটের কারণে এরই মধ্যে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘দেবী চৌধুরাণী’ আর ‘সৌদামিনীর সংসার’ সিরিয়ালগুলোর দায়িত্ব সুব্রত রায় প্রোডাকশনস থেকে জ্যোতি প্রোডাকশনস গ্রহণ করেছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হলেও সিরিয়ালগুলোর টাইটেল কার্ডে এখনো সুব্রত রায় প্রোডাকশনসের নামই দেখা গেছে। আর ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার হিসেবে থাকছে সুব্রত রায়ের নাম।
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ও ‘সৌদামিনীর সংসার’ সিরিয়াল দুটি প্রচারিত হচ্ছে জি বাংলায় আর ‘দেবী চৌধুরাণী’ স্টার জলসায়।