জীবন বাঁচাতে জীবিকাও সচল রাখতে হবে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই। তাই জীবন বাঁচাতে জীবিকাও সচল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবন বাঁচানো এখন অগ্রাধিকার। আবার জীবন বাঁচাতে জীবিকাও সচল রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জীবন ও জীবিকার মাঝে সুসমন্বয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা করতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার তার সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু যাতে নতুন ট্র্যাজেডি বয়ে নিয়ে না আসে তা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর সমাগত। এবারের ঈদ এসেছে ভিন্ন বাস্তবতায়। ঈদে হাট বাজারে বা বিভিন্ন স্থানে বরাবরের মতো মেলামেশা উদযাপন এইবার উদ্বেগের কারণ রয়েছে। যে যেখানে ঈদ করি সংক্রমণ রোধে সচেতন থাকি। ঈদ জামাতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলুন। মনে রাখতে হবে উৎসবের আনন্দ যেন বিষাদ সিন্ধুতে পরিণত না হয়।’

ঈদে ঘরমুখী মানুষদের আবারও সতর্ক করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, যারা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে স্থানান্তর হচ্ছেন নানা কৌশলে, তাদের মনে রাখা উচিত পুলিশকে ফাঁকি দিলেও করনা সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। তাই বলব সংক্রমণ ও মৃত্যু যেন নতুন ট্র্যাজেডি বয়ে নিয়ে না আসে তা মাথায় রাখবেন।

করোনা ভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব বর্তমানের মতো হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা সারা বিশ্বকে আজ বদলে দিচ্ছে। করোনা পরবর্তী জীবন আর এমন থাকবে না। পরবর্তীতে পৃথিবীতে পরিবর্তিত পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ থেকেই যাচ্ছে। তবুও জীবন থেমে থাকবে না। জীবন বহতা নদীর মতো বদলে যাওয়া নতুন পৃথিবীতে নতুন পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। বাঁচতে হবে।

করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক বাস্তবতা সময়ের চাহিদার সাথে সংগতি রেখে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই। আমাদের এখন নিজেদের বাঁচতে হবে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। জাতি হিসেবে আমাদের অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা, বিভেদ সংক্রমণকে সর্বগ্রাসী ও বিধ্বংসী করে তুলতে পারে।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় ভিয়েতনাম থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া যা পারছে আমরা কেন তা পারবো না। জীবন বাঁচানো এখন অগ্রাধিকার। আবার জীবন বাঁচাতে জীবিকাও সচল রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জীবন ও জীবিকার মাঝে সুসমন্বয়। সমন্বয় সাধনে শেখ হাসিনার সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগের অমানিশায় মানবতার বাতিঘর শেখ হাসিনা আপনার সাথে রয়েছেন। সাহস ও মনোবল নিয়ে করোনা যুদ্ধকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে সম্মিলিতভাবে। তবেই আমরা সফল হবো ইনশাল্লাহ। বাসস

Share