জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক এখতিয়ার কেড়ে নিলো হাইকোর্ট

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার ওসি রফিকল ইসলাম ও দুই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই চার শিশুকে প্রিজনভ্যানে তোলার অপরাধে আরও চার পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত মামলার রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (১৩ জনু) এ রায় দেয়। আদালতের এই আদেশের বিষয়টি রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে চার শিশুকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. এনায়েতউল্লাহর ফৌজদারি মামলার বিচারিক এখতিয়ার হাইকোর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে তাকে দেওয়ানি মামলা পরিচালনার এখতিয়ার প্রদান করতে বলা হয়েছে।

‘ধর্ষণের ঘটনাগুলো দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো’: আদালত বলেছে, শিশু আইনে পুলিশ কর্মকর্তা ও বিচারকদের শিশুর অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য যে নির্দেশনা রয়েছে তারা তা পালন করেননি। যদি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে এ ধরনের ঘটনা বাড়তেই থাকবে। তাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও তিন পুলিশ সদস্যের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন নাকচ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হলো।

রায়ে হাইকোর্ট শিশুদের গ্রেফতার ও তাদের আটকাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে বেআইনি ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

রায়ে হাইকোর্ট দেশের সকল থানায় শিশুবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ, শিশু ডেস্ক স্থাপন এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় যে ধরণের নির্দেশনা রয়েছে তা সকল থানায় টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share