ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধের নেপথ্যে অর্থনৈতিক দুর্বলতা

নয়াবার্ত‍া প্রতিবেদক : ঢাকা থেকে উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক মিশন গুটিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলোতে নানা কৌতূহলও তৈরি হয়েছে। তবে ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধের বেশ কয়েকটি কারণ জানা গেছে।

সূত্র জানায়, উত্তর কোরিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বাড়তে থাকায় দেশটি অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বহির্বিশ্ব থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়েও পড়েছে দেশটি। সে কারণেই বিভিন্ন দেশ থেকে কূটনৈতিক মিশন গুটিয়ে নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল থেকে কূটনৈতিক মিশন গুটিয়ে নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। চলতি বছর অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত স্পেন, উগান্ডা, হংকং, অ্যাঙ্গোলায় কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করেছে উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক সুং ইয়ুপ ইতোমধ্যেই ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বন্ধ হওয়া ঢাকার দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতসহ তিনজন কূটনীতিক চীনের গুয়াংজুতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার মিশনে যোগ দিয়েছেন।

ঢাকার উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধের বিষয়টি এক মাস আগে উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলো। তবে ২১ নভেম্বর ঢাকার মিশন বন্ধ করে উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকরা বাংলাদেশ ত্যাগ করে। এখন থেকে দিল্লির কূটনীতিক মিশন থেকে বাংলাদেশের বিষয়াদি দেখভাল করবে উত্তর কোরিয়া।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই সীমিত। সে কারণে ঢাকায় দেশটি দূতাবাস বন্ধ করে দিলেও এ নিয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধুমাত্র জাতিসংঘে ভোটাভুটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

এদিকে ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস বন্ধের খবরে অনেক দেশের কূটনীতিকদের মধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক ২৭ নভেম্বর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস বন্ধের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি দূতাবাস বন্ধের কারণও জানতে চান।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ১৯৭৪ সালে ঢাকায় দূতাবাস খোলে। তবে শিগগিরই তারা আবার দূতাবাস চালু করবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে। এদিকে উত্তর কোরিয়ায়ও বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে থাকে।

Share