নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলায় অস্ত্রসহ তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কাদিরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। পরে আটকদের তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, নগরীর কাদিরগঞ্জে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই মাইনুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনজন শিক্ষার্থী রিকশায় সাহেব বাজারের দিকে যাচ্ছিল। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাদের রিকশা থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একজন ধারালো ছুরি দিয়ে এএসআই মাইনুলকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন কনস্টেবলরা তাদের ধরে ফেলেন। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটক শিক্ষার্থীরা হলো, নগরীর কয়েরদাঁড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে আমির হোসেন (২০), নগরীর সপুরা পবাপাড়ার রণজিৎ হালদারের ছেলে অভিজিৎ হালদার রিংকু (২৪), সাহেববাজার মাস্টার পাড়ার এমাজ উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (১৮)।
ওসি জানান, আটক রিংকু রাজশাহী কলেজের বিবিএস (ডিগ্রি) প্রথম বর্ষের, মোবারক টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ১০ম শ্রেণির এবং আমির নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সদস্য। সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে,পবার নওহাটায় দুইশ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন, দামকুড়া থানার গহমাবোনা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে লাভলু হোসেন (২৪), মালদা কলোনির মাসুদ রানার ছেলে তানভীর হোসেন ওরফে বিজয় (২২) ও নুরু শেখের ছেলে শাকিল শারমিন (৩২)। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নওহাটা কলেজ মোড়ে পোস্ট অফিসের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করে মাদক উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।