তিন দফা দাবিতে গণভবনে পদযাত্রার ঘোষণা সোহেল তাজের

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : তিন দফা দাবি আদায়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে (মানিক মিয়া এভিনিউ) গণভবনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ বলেছেন, আগামী সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্নে) অবস্থান নেবেন তিনি। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনের উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন।

সোহেল তাজ যে তিন দাবি জানাবেন: (১) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। (২) ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবস’কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। (৩) জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সোহেল তাজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য।

ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ আরও লিখেছেন, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ দিনই শুধু নয়, এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে একটি মোড় ঘোরানো দিন, কারণ ১৯৭১ সালের এই দিনে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর তাজউদ্দীন আহমদ তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার পদাধিকার বলে অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান) নিয়ে কঠিন বাধা এবং রাজনীতির চরম দুঃসময়ের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার গঠন করেন।

তিনি আরও লিখেছেন, ইতিহাসবিদ এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা একমত যে, এই সরকার গঠনের মাধ্যমেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত স্বাধীনতায় রূপ নেয়। অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম পৃথিবীর অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মতো ব্যর্থ হয়ে যেত। আমার কাছে আশ্চর্য লাগে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলো কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম এই গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছুই জানে না- এটা মেনে নেওয়া যায় না। আর তাই আমি আমার ৩ দফা দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাবো, যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দাবিগুলো কার্যকর করা না হয়।

প্রসঙ্গত, ৩ দফা দাবি আদায়ে গতবছরও একই দিনে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন সোহেল তাজ।

Share