দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দিনাজপুর প্রতিনিধি : পৌষের বিদায়বেলায় রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। দিনব্যাপী কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক ও মাঠঘাট। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এক সপ্তাহ ধরে উত্তর জনপদের জেলা দিনাজপুরে এমন অবস্থা। চলমান শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকলেও আজ সূর্যের দেখা মিলেছে।

এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, দিনাজপুরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা নামা করছে। আজ সকালে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকালে দিনাজপুর রেলস্টেশন চত্বরে আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ঠান্ডায় হাত-পা কোঁকড়া লাগি যাছে। খালি শীতটা পড়লে কুনহ কথা ছিল না। কিন্তু শীলশীল বাতাসটা মনে হচে কান আর হাত–পা গিলাত লাগেছে। সকালে বাড়ি থাকি বাইর হয়ে স্টেশন পর্যন্ত আসতেই মনে হচে জ্যাকেটটা ভিজিয়া স্যাঁতসেঁতে হই গেইল।’

আজ দুপুরে গণেশতলা এলাকায় বন্ধু ফ্যাশন কাপড়ের দোকানে শীতের কাপড় কিনতে এসেছিলেন আবু বকর সিদ্দিক (২৯)। তিনি বলেন, ‘এমন ঠান্ডা, মনে হচ্ছে বিছানায় কেউ পানি ঢেলে দিয়েছে। কাজে–কামে বাইরে যেতে হচ্ছে। বাইরেও ঠান্ডায় মোটরসাইকেল চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে মোজা ও সোয়েটার কিনতে বাইর হয়েছি।’

মাথায় মাফলার, গায়ে চাদর মুড়ি দিয়ে ডান হাত পকেটে দিয়ে বাঁ হাতে ইজিবাইকের হ্যান্ডেল ধরে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন রিয়াজুল ইসলাম। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শহরে অটোর সংখ্যা বেশি। তার ওপর রাস্তায় লোকজন কম বের হচ্ছেন। আয় কমে গেছে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভাড়া পাইছি ৮৫ টাকা। অন্যান্য সময়ে কম করে হলেও দেড় থেকে দুই শ টাকা ভাড়া পাওয়া যেত।’

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আকাশের উপরি ভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে।

Share